মোঃ রাসেল নারায়নগঞ্জ থেকে
সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংরোডে হালিমা শপিং টাওয়ারে অবস্থিত সুগন্ধা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলো সুগন্ধা হাসপাতালের মালিক পক্ষ। সুগন্ধা হাসপাতালের বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা জুড়ে আলোচনা ঝড় উঠে।
গত কয়েক মাস আগে চিটাগাংরোডে এক ব্যবসায়ী সুগন্ধা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে তাকে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া একটি ইনজেকসন ফুঁস করা হলে ব্যবসায়ীর সাথে সাথে মৃত্যু হয়। সে ঘটনাটি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ধামাচাপা দিয়ে দেন আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ হবুল। পরে জানা গেছে হাবিবুল্লাহ হবুল সুগন্ধা হাসপাতালের উপদেষ্টা। তার কিছু দিন পরে এক গর্ভবতি নারী সুগন্ধা হাসপাতালে আসলে তাকে ইমার্জেন্সি সিজার করতে হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অপারেশন করার সময়ে ঐ নারীর অন্য একটি নার কেটে ফেললে তাকে দ্রুত ঢাকা হাসপাতাল নিয়ে যেতে স্বজনদের বলেন সুগন্ধা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ঢাকা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে কারনে গর্ভবতি নারীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ডাক্তার বলেন অন্য একটি নার কাটার কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হওয়ায় এই নারীর মৃত্যু হয়েছে। পরে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে
পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন টেলিভিশনে সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিদিন এধরনের ঘটনা ঘটছে সুগন্ধা হাসপাতালে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী জানায়, সুগন্ধা হাসপাতালে গর্ভবতি নারীদের অপারেশন করেন অদক্ষ চিকিৎসকরা। মাঝে মাঝে হাসপাতালের নার্স দিয়েও তারা অপারেশন করে থাকেন। ডাক্তাররা অপারেশন করার সময় নার্সরা দেখেন এবং অনেক সময় ডাক্তার না থাকলে নার্সরাই অপারেশন করেন বলে জানা যায় । সুগন্ধা হাসপাতালে পাটনার ডাক্তার নিজাম উদ্দিন। নিজাম উদ্দিন একজন মানসিক রোগীদের ডাক্তার অথচ সে সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসা করে থাকেন। তাদের এসব অপকর্মে বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না, কারন তাদের রয়েছে সন্ত্রাস বাহিনী। হাসপাতালের ম্যানেজার পত্রিকায় সংবাদ দেখে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে লিখলে কিছু হবেনা, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে চলি। রহস্যজনক কারনে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিচ্ছেনা কোন ব্যবস্থা। এলাকাবাসী জানায়, সুগন্ধা হাসপাতালে আসা রোগীরা কি ভাবে জানবে এ সুগন্ধা হাসপাতালে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা হচ্ছে। তবে অনেকে স্বজন হারিয়ে সুগন্ধা হাসপাতাল হইতে সাবধান। তারা আরো বলেন, সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে তাহলে অপচিকিৎসায় আরো অনেক স্বজন চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে। ভুক্তভোগীদের দাবি সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। আরো তথ্য নিয়ে সুগন্ধা হাসপাতালের বিষয়ে সংবাদ দেখতে পত্রিকায় চোঁ রাখুন।