মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর মোঃ জাকির হোসেন ইউনিয়ন বাসী সকল স্তরের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৬ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনসেবার প্রতিধাপেই সফলতার প্রমান দিয়েছেন। সেই সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন। জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা কালে তিনি নিজ এলাকা হতে যেকোন মুল্যে মাদক মুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তন্তর ইউনিয়নে মাদক নির্মুল, ইভটিজিং বাল্য বিবাহ, স্যানিটেশন সহ সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা গেছে। সরেজিনে ঘুরে ইউনিয়ন বাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মোঃ জাকির হোসেন ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আলী আকবরকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জাকির হোসেন দীর্ঘ সময় তন্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেও কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করেন। ইউনিয়নের সকল স্তরের মানুষের জন্য সেবার দরজা খুলে দেন। ফলে জনপ্রিয়তার কল্যানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। কথার চাইতে কাজে বেশী বিশ্বাসী নীতিতে চলা জাকির হোসেন ছোটবড় সকলেরই আস্থাভাজন। ন্যায় বিচার ও জনসেবার কারনে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। জাকির হোসেন রাজনীতি ছাড়াও মানবাধিকার রক্ষা ও শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ১৩টি গ্রামের গোলাকার বৃত্তে ২৬ টি মসজিদ মকতব, ১০টি প্রাইমারী স্কুল, ২টি হাই স্কুল, ৪টি মাদ্রাসা, ৫টি বাজার, ১২টি খেলার মাঠ, ৪টি কবরস্থান ও ৩টি মন্দিরের সমন্বয়ে গঠিত তন্তর ইউনিয়ন। প্রতিটি গ্রামের সাথেই রয়েছে সংযোগ সড়ক ও বিদ্যুতের সুব্যবস্থা। আর এসবের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে জাকির হোসেনের অপরিসীম অবদান। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের উন্নয়নে আসা বরাদ্দের পুরো টাকাই খরচ করেন উন্নয়নের খাতে। উন্নয়ন কাজের খাত থেকে দুই টাকা আত্মসাৎ করার রেকর্ড তার নামের পাশে পাওয়া যায়নি বরং তার পকেট থেকে টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন বলে অহর অহর প্রমান মিলেছে। টু-পাইস গ্রুপ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করলেও জনগনের ভালোবাসা থাকায় তার কোন ক্ষতি করতে পারেনি। স্বার্থলোভীরা স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ তার উপর হামলা করেও সফল হতে পারেনি। তার বিচার কার্যে দালালী করার কোন সুযোগ নেই বলে অনেক গ্রাম্য মাদবর তার প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখালেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি। ব্যক্তি জীবনে অতি সাধারন, সুস্পষ্টবাদী ও সরলতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জাকির হোসেন বরাবরই রাজপথের লড়াকু সৈনিক। সরকারের সফলতা ও প্রতিটি পদক্ষেপ জনগনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে তিন রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ যেকোন অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠে প্রতিবাদ করা তার জন্মগত অর্জন। বিলাসী জীবন কাটানোর সুযোগ থাকলেও ব্যবসা বানিজ্য ছেড়ে বেশীর ভাগ সময়ই তিনি জনসেবার লক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে পড়ে থাকেন। শ্রীনগর উপজেলার ভিআইপি লোকজনও চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় তিনি এক রকম যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে স্থানীয় কিছু মাদক ব্যবসায়ী প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অপরাধ সংগঠিত করছে বলে এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তি মহল মনে করেন। এলাকাবাসী জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলকে আরো জানান, কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার সাথে মাদক বিক্রেতাদের দারুণ সখ্যতা রয়েছে, যার ফলে সমাজ থেকে পুরোপুরিভাবে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি মাদক বিক্রেতা চক্র বরাবরই মাদক বিক্রয়ে তৎপর রয়েছে। এব্যাপারে শ্রীনগর থানার ওসি আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বরাবরই সোচ্চার। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন আপোষ নয়। কেউ যদি পুলিশের চাকুরী কুলষিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবসীর দাবী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হউক। এব্যাপারে মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অপরাধী যেই হউক কোন ছাড় নয়। মাদকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় প্রতিটি পরিবারকে সচেতনার বলয়ে তৈরি করতে হবে, খেলাধুলা ও সু-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অপরাধ মুক্ত সমাজ গঠনে আমার কর্ম তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।