টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ টাঙ্গাইলে কুমুদিনী কলেজ গেটের সামনে সাইন বোর্ড বিহীন চিপাগলির ভিতরে রুম ভাড়া নিয়ে বিবাড়িয়া থেকে হাইজ গাড়ী যোগে এসে সপ্তাহে প্রতিশুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হুমায়ূন কবির ও তার ছেলে (এস.এস.সি পাস) ডাক্তার না হয়েও ভূয়া পল্লি চিকিতসক সনদ নিয়ে অশ্ব পাইলস চিকিতসা ও অপারেশন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞ এম বি বি এস ডাক্তার ব্যাতীত অশ্ব পাইলস এর মত নরম জায়গায় অপারেশন করা ঝুকিপূর্ণ। তবুও এরা হাতুড়ে চিকিতসা দিয়ে রোগী নিয়ে বাণিজ্য করছে। গরীব সহজ সরল ও অসহায় রোগীদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে ভূলিয়ে ভালিয়ে মিথ্যা বিশ্বাসের আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে টিকিটের জন্য ফি ডাক্তারের সাক্ষাত ফি সহ অপারেশন বাবদ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এমন অভিযোগ গা শিহরে দেওয়ার মত। টাঙ্গাইল জেলায় দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামের জালাল নামক এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান আমি এক টাউট দালালের কপ্পরে পড়ে হাতুড়ে এ ডাক্তারকে দিয়ে পাইলস অপারেশনের কারনে দুই বছরে আমার প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও ঘা শুকায়নি সুস্থ্য হতে পারিনি। অপারেশনের ঘা না শুকালে অনেকেও বলেছেন এটি ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। সনদ বিহীন বাবা ছেলে এমন হাতুড়ে চিকিতসায় অনেক লোক নিঃস্ব হচ্ছে। মৃত্যুর দিকে দিন দিন ঝুলে পড়ছে। অনেকে বলেন বাবা ছেলে ছাড়াও এখানে একেক দিন একেক ব্যক্তি নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপচিকিতসার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এটি যেন চিকিতসার নামে গোপন মানুষ মারার ফাঁদ ।
রোগীরা নানা ভাবে হয়রানী ও প্রতারিত হলেও অভিযোগ শুনছেন না কেহ। গরীব থেকে শুরু করে বিত্তশালী অনেকেই এ গোপন কঠিন রোগে ভুগছে। সরল বিশ্বাসে এ হাতুড়ে চিকিতসা নিতে এসে অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হলেও মুখ বুজে অভিযোগ করেন না কোথাও। এ হাতুড়ে চিকিতসক চিকিতসা দেন প্রথম সাক্ষাতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা ফি নিয়ে অপারেশন করে পরবর্তী চিকিতসা মোটা অংকের টাকা চুক্তিভিত্তিক শর্তে ভুক্তভোগী এক রোগী জানান অপচিকিতসায় অর্থ ও শারীরিক মানষিক ভাবে কষ্ট ভোগ করে তাদের অপচিকিতসায় প্রতিবাদ করতে আসলে ঐ এলাকার উশৃঙ্খল ভাড়াটিয়া বখাটে দ্বারা আমাকে নানা ভাবে নাজেহাল করে। জানা যায় স্থানীয় প্রভাবশালী শহিদুল নামে এক ব্যক্তির ঘর ভাড়া নেওয়ায় কেহ তাদের অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। ঘর মালিক শহিদুল তাদেরকে সার্বিক সেল্টার দেয়। প্রতিশুক্রবারে প্রায় একশ’ থেকে একশ’ বিশ জন রোগী কে সিরিয়ালে দেখেন। পাইলস চিকিতসক হুমায়ূন কবির নিজেকে ভিজিটিং কার্ডে একজন ডিগ্রীধারী ডাক্তার দাবী করেন। ছেলেসহ সঙ্গীয় আরোও দুই তিন জনের নাম, পদবী আপনারা কোন জেলা থেকে এখানে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে আসেন, ক্লিনিক ও চিকিতসালয়ের কোন অনুমতি বা সিভিল সার্জন কর্তৃক কোন কাগজ পত্র আছে কিনা? ডিগ্রী জানতে চাইলে কথিত ডাক্তার হুমায়ূন কবিরের ছেলে ঘর মালিক শহিদুলের সাথে কথা বলতে বলে এবং বিভিন্ন বখাটেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ডাকতে থাকে। সংবাদ কর্মীকে নানা ভাষায় হুমকী দেন।