লেখক ঃ এস ইবাদুল ইসলাম
গনতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় এখনও বাধা অপশক্তি এই সত্যটি আজও প্রমানিত যে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা প্রাপ্তির মেহে বিভোর যারা এরাই হলো অশুভ শক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী হচ্ছে এদের মূল চালিকা শক্তি। প্রতিক্রিয়াশীলরা এদেশের রাজনীতিতে সমাজনীতিতে অনেক এগিয়ে। এরা সারাক্ষন ব্যস্ত ক্ষমতা ভোগে এবং রাষ্ট্রের মৌলিক চাহিদা বিভাজনের কাজে। যেমন পরিমাপ নেই দানবের অশুভ কাজের তেমনি পরিমাপ নেই প্রতিক্রিয়াশীলদের মন্দ কাজের। এইযে বিগত সময়ের আগুন সন্ত্রাস হলো, ঝলসে দেওয়া হলো, আগুনে মানুষের দেহ। এমন কি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকদের দেহ থেতলিয়ে দেওয়া হলো, এসব কি পরিমাপ যোগ্য অপরাধ? অসম্ভব। বিচিত্র রঙ্গ ডঙ্গে এদের আর্বিভাব হয়। জঙ্গিবাদ তার মধ্যে অন্যতম একটি রুপ। যার ভয়াবহতা ১৭ই আগষ্ট ২০০৫ সাল ৬৩ টি জেলায় একই একই সঙ্গে বোমা হামলা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। গুলশানের হলি আর্টিজেন এ প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা যদি মনে করি এহেন কাজ যারা করে তারা গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিবে তা হলো মহা ভুল। সাম্প্রদায়িকতার জয় কোন কালেই হয়নি। উগ্রবাদে বিশ্বাসী হিটলারের পরাজয় এক্ষেত্রে অনন্য নজীর। প্রতিক্রিয়াশীলরা বিভিন্ন কায়দায় শেকড় গেড়েছে পরতে পরতে ,সাম্প্রদায়িকতার পরাজয় ইতিমধ্যে দেখেছি, মতলব বাদদের বিবেক সব সময় দংশিত হয়। অসত্য ও আর অমানবিকতাকে বর্জন করাই আমাদের প্রকৃত শিক্ষা ,যারা বিবেক হীনদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় ও অর্থের যোগান দেন তারা অবশ্যই স্বার্থের জগতে অন্ধ। সরল হৃদয় আর আন্তরিকতা পূর্ন মানব প্রেম নিরন্তর সৃজনশীল কাজের দিকে ধাবিত করে। ন্যায় বিচারে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা ন্যায় বিচরে পরিপূর্ন। তেমনি একটি মানবতা ও মানব সেবার এক বরেন্য সৃষ্টি হয়েছে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া। অনেকের মতে এতে নাকি চট্রগ্রামের প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয নষ্ট হচ্ছে। তা না হয় হয়েছে, তবে মানবিকতার বির্পযয় আর মানুষের দূর্দশার চেয়ে প্রকৃতির সৌর্ন্দযের মূল্য বেশী নয়। যেহেতু মানুষ মানুষের জন্য। দারুন আচানক বিষয় হলো বিশ্ব সভ্যতা এখনও মায়ানমারকে শক্তভাবে কিছু বলেনি। বলা যায় আমাদের সভ্যতা ব্যধিতে আক্রান্ত। মানুষের যোগ্যতার মাপকাঠি মানবিকতা নিরন্তন যিনি দেশের মঙ্গল কামনা করেন এবং দেশকে মঙ্গলের কার্যের দিকে এগিয়ে নিতে শ্রম দেন তাকে তো মূল্যায়ন করতে হবে। ভিত্তিহীন আর্দশহীন আর মিথ্যাচার করে যারা প্রতিনিয়ত তাদের উদ্দেশ্যে বলা আপনারা মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। এখানে আমি বলবো দেশও জাতির স্বার্থে এসকল স্বার্থনেশী মহল কে রুখতে হবে খুলে ফেলতে হবে তাদের মুখোশ। তাহলেই আমরা টেকসই উন্নয়নের পক্ষে দ্রুত আরও দ্রুত এগিয়ে যাব যদি আভিজ্ঞতায় এবং পর্যবেক্ষনে সত্যটা উপলব্দি করে গনতন্ত্রকে এগিয়ে যেতে সুযোগ করে দেওয়া হয়্।বিভিন্ন পত্রিকায় একটি কথা বার বার ছাপা হচ্ছে তা হলো আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে বিশ্বের অনেক দেশ ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুলো অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী ও প্রভাবশালী দেশ। সেজন্য আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা পরিহারে কাজ করতে হবে। কারন এদেশ আপনার আমার ও সকলের। তাই দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করায় স্বাবলম্ভি করে তোলার দায়িত্বও আমার আপনার ও সকলের। এই প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে অবশ্যই জয়ী হবো।
এখানে অনেক আনন্দের সাথে উল্লেখ করছি যেভাবে বাংগালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনটি গৌরবময় ঐতিহাসিক ভাষন হিসাবে স্বীকৃতী লাভ করেছে বিশ্বের দরবারে। সেজন্য সকল বাংলাদেশী আমরা গর্বিত। আমি লেখক হিসাবে আশা করবো এই অর্জিত সম্মান আমরা রক্ষা করব এই হোক অমাদের প্রতিজ্ঞা। অদূর ভবষ্যিৎ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে আমরা অক্ষুন্ন রাখবো।