স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের দেলাপাড়ার আবুল বাসার অর্থ আত্মস্বাদ করে অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। কালির বাজার এক ব্যবসায়ীর সাথে ব্যবসা করে বাকী নিয়ে ও দোকানের কর্মচারীকে হাত করে কোটি কোটি টাকার দামী দামী সিগেরেট চুরি করে নিয়ে যায় আবুল বাসার। ঘটনা জানার পর অন্যরত্র লুকিয়ে ব্যবসা করে বলে জানায় ভুক্তভোগী।
কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া মৃত শাহজান মোল্লার ছেলে এই প্রতারক আবুল বাসার। দেল পাড়ায় আল রাফি ডিপার্ট্মেন্টাল স্টোর পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা আত্মস্বাদ করার পায়তারা করে এই আবুল বাসার। অর্থ আত্নস্বাদ করে অপকর্ম ঢাকতে কালির বাজার এস আর ট্রেডিং মালিক অসুস্থ শাহজাহান মিয়া, তার ছেলে রুহুল আমিন রাজুসহ অনেককে মিথ্যা মামলা ফাসিয়ে হয়রানি করছে। নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ১ নং আদালতে একটি মিথ্যা পিটিশন মামলা দায়ের করে, যার নং ১২৪/২০২৪। মামলাটি নারায়নগঞ্জ সি আইডিতে তদন্তের জন্য দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। আরেকটি মামলা বিজ্ঞ এক্সেকিউটিভ মেজিট্রেট আদালতে যার নং ৪০৯/২৪।
এই বিশ্ব প্রতারক ভোক্তভোগীকে ৯০ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে অপহরনের নাটক সাজিয়ে সত্যকে ধামা চাপা দিতে চাচ্ছে বলে জানায় রুহুল আমিন রাজু ।তাছাড়া ফতুল্লা থানায় আবুল বাসারের ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করে। যার তদন্ত মিজানুর রহমান সজীব করে, আদালতের মামলায় ৪ নং পাতায় নীচের দিকে বলে পুলিশের কথায় বাদীর ভাই পরবর্তিতে বাদীর নিকট থেকে জোড়পুর্বক ১ টি চেক, ৩ টি খালি স্টেম্প ও ৩টি সাদা কাগযে স্বাক্ষর নিয়ে বাদীর একাউন্ট থেকে ফান্ড ট্রান্সফার করে ১৫,৫৭,০৫৯ টাকা নিয়ে যায় এবং বাদী আবুল বাসার ও তার বন্ধুকে ইসদাইর পাকা রাস্তার উপর হাত পা বাধা অবস্থায় রাত্র ৩.০০ টায় সময় ফেলে যায়।একে অপরের হাতের বাধ খুলে ৪ টার দিকে বাড়ি ফিরে।আবুল বাসার ও তার ভাই এরশাদ মোল্লা আদালতে মামলা, ফতুল্লা থানা, নারায়ণগঞ্জ থানা ও র্যাব-১১তে অভিযোগ করে।
আদালতের মামলার নথি থেকে নেওয়া কাগজাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, কাগজ ও কথার মিল নেই, আদালতের আরজিতে এক রকম লেখা, থানার অভিযোগে আরেক রকম লেখা ও র্যাব-১১ অফিসে অভিযোগে আরেক লেখা। প্রতিবেদকের সাথে মোবাইল ফোনে স্বাক্ষী ও ভিক্টিম মীর নাদিমের ভাষ্য একরকম, বাদী ও ভিক্টিম আবুল বাসারের ভাষ্য আরেক রকম, বাদীর ভাই এরশাদ মোল্লা ভাষ্য আরেক রকম করে বলছে। ফিজিক্যালি বাদি আবুল বাসারকে প্রশ্ন করলে আরেক রকম বলছে। ভিক্টিমদের এত মারধর ও নির্যাতন করেছ কিন্তু তারা হাসপাতালে বা কোন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়নি।
এদিকে থানা ও র্যাব অফিসে যোগাযোগ করলে জানা যায়, ঘটনার সততা না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই।চলবে……