অপরাধ বিচিত্রাঃ রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, কর্মীরাই আওয়ামীলীগের চালিকা শক্তি। ভাষা আন্দলন থেকে শুরু করে মুক্তি সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের গ্রামের কিংবা ওয়ার্ডের একজন কর্মীকে অন্যান্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তুলনা করা যায়। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি জামায়তি ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ লুটপাট হয়। মন্ত্রী ২১ অক্টোবর শনিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ সব সময় কর্মীদের মূল্যায়ন করে থাকে । প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী চৌদ্দগ্রামের রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজের ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ণ করেছি। বিগত সময়ে চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত এমপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী আমার উন্নয়নের ধারে কাছেও যেতে পারেননি। চৌদ্দগ্রাম একসময় ছিলো অবহেলিত ,এখন চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি পড়া মহল্লা পাকা রাস্তা আর নতুন নতুন বিল্ডিং সবই আওয়ামীলীগ সরকারের অবদান।
মন্ত্রী আগামী নির্বাচন উপলক্ষে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ওয়ারী নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কর্মীদের যোগাযোগের উপর গুরুত্বদিয়ে নেতাকর্মীদের সবার নিকট আওয়ামীলীগের উন্নয়নের সকল দিক তুলে ধরার পরামর্শ দেন। কর্মীসভা শেষে মন্ত্রী নিজের তহবিল থেকে প্রতিটি গ্রামের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হাতে লুঙ্গি, ছাতা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
কর্মীসভায় মুন্সিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাভাপতি আবুল কাশেম ভুঞার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, পৌরমেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাইনুদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহাজালাল মজুমদার, মুন্সিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মাহফুজ আলম, উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মাহবুব হোসেন মজুমদার, গুনবতী ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়াম্যান সৈয়দ আহাম্মদ খোকন প্রমূখ।