বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারা ও মানহানির দুটি মামলায় আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (নভেম্বর ২৮) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.আসাদু্জ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসিফ নজরুলকে মানহানির মামলায় দশ সপ্তাহের এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মানহানির মামলায় আদালত ১০ সপ্তাহের এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছেন। এ বিষয়ে আসিফ নজরুলের আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আসিফ নজরুলের নামে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে নৌমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়া হয়। অথচ ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন সময়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। আসিফ নজরুল একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও দেশের সচেতন নাগরিক। তাই আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আগাম জামিন দিয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর আসিফ নজরুল চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগ নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে বলা হয়, এই পদে নিয়োগ দেয়া ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা।
বিবরণে আরো বলা হয়, নৌমন্ত্রীকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। এখানে মোট ৮৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার মাত্র আটজন রয়েছে। গত মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় নৌমন্ত্রীর বোনের ছেলে সৈয়দ আসাদউজ্জামান মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি। পরে বৃহস্পতিবার তিনি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মাদারীপুর সদর থানায় আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে এটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়।
২৪ নভেম্বর একই ঘটনায় আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়