বিশেষ প্রতিবেদক,বরগুনাঃ বরগুনার আমতলীর গাজিপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় জেডিসির পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ।
আমতলী উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলাম তার মাদ্রাসায় নতুন অনুমোদিত জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান বা হল সচিব। তার কেন্দ্রের আওতা ভূক্ত ৮টি মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার সংখ্যা ২শ ৫৫ জন। মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৫শ টাকা, সরকার নির্ধারিত ফি ৫৫ টাকা। ফরম ফিলাপে আদায় করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, সরকার নির্ধারিত ফি ১শ টাকা। প্রবেশ পত্র বাবদ আদায় করা হয়েছে ৫শ টাকা, সরকার নির্ধারিত ফি ১শ ৫০টাকা। পরীক্ষা শুরুর সময় আবার প্রবেশ পত্র বাবদ ৫শ টাকা, অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলামের নির্দেশে নতুন পরীক্ষা হল অনুমোদন প্রাপ্তির খরচ বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদেও কাছ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নির্বিঘেœ বই দেখে পরীক্ষা দেবার জন্য ঠান্ডা ফি বাবদ ৩শ টাকা করা হয়েছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে যে, নতুন কেন্দ্র অনুমোদন লাভের সময় হল সচিবের(অধ্যক্ষ) নিজের মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৭১ জন বাস্তবে পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে ৪৪ জন। কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী থাকার কথা ২শ ৫৫ জন কিন্তু বর্তমানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ১৫ জন। সরকারের পক্ষ থেকে যে ২ জন পরীক্ষা পরিদর্শক দেওয়া হয়েছে তারা ঠান্ডা ফি নিয়ে কেন্দ্রের লাইব্রিতে হিমশীতল হয়ে থাকেন। পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ বই দেখে পরীক্ষা দিয়ে চলছেন। জেডিসি পরীক্ষার হল সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলামের নিকট(০১৭২৪৯৪০৮৬৮) পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ওজুহাতে দফায় দফায় অবৈধ ভাবে টাকা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগামীকাল আপনার সাথে দেখা করব বলে মোবাইল নাম্বারের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।