আশুলিয়া এসি (ল্যান্ড) অফিসে নামজারীতে কানুনগো ও সার্ভেয়ার এর ৫ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের ভয়ঙ্কর মিশনের কাজ চলছে

0
191

অবি স্টাফ রির্পোটার : ঢাকা জেলার আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অফিসে ঘুষের গডফাদার জনাব কানুনগো ও সার্ভেয়ার, বিএসআর নামজারীর আবেদনে এস এ খতিয়ানে পার্টখাস, এলএ দাগ, সরকারী স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনায়িন ইত্যাদি নিজেদের তৈরী সাদা রেজিষ্টারে টাইফকৃত মিথ্যা তথ্যের অজুহাতে বি আর এস রেকর্ডের নামজারির আবেদন বাতিলের হুমকি দিয়ে দুর্নীতির আশ্রয়ে প্রতি খারিজ আবেদনে ৫০,০০০/= হতে ১,০০,০০০/= টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করে নামজারি আবেদন  মঞ্জুর করা হচ্ছে,  ঘুষ না দিলে আবেদন বাতিল করা হচ্ছে। 

Advertisement

বি আর এস রেকর্ডে কোন জমি টি সরকারী খাস, এল এ দাগ, সরকারি স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনায়িন ইত্যাদি সুনির্দ্দিষ্ট ভাবে ডিমারগেশন করা দাগ নাম্বার সহ আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অফিসে  আছে। এসি (ল্যান্ড) সাহেব জেনে শুনে দায়িত্ব এড়িয়ে কানুনগো ও , সার্ভেয়ার  এর বরাত দিয়ে নামজারীর আবেদন বাতিলে দস্তখত দিচ্ছেন। জনসাধারন ভীত হয়ে গোপনে এসি (ল্যান্ড) অফিসের কানুনগো ও সার্ভেয়ার এর নিয়োজিত দালালের সাথে ঘুষ লেনদেন করছে। সোজা কথা ঘুষ ছাড়া নামজারী বাতিল। 

অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে যে, এসি (ল্যান্ড) অফিসের ৩য় তলায় গোপনীয় কক্ষে বহিরাগত লোক দিয়ে সাদা কাগজে টাইপ করে রেজিষ্টার বানিয়ে হাজার হাজার  খতিয়ান ও  দাগ নাম্বার এর সামনে এলএ দাগ, খাস খতিয়ান, সরকারী স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনাইন ইত্যাদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশাল তালিকা তৈরী করে রেখেছে। এই রেজিষ্টারের তালিকায় কাহারো কোন দস্তখত ও সীল নাই। কিসের ভিত্তিতে কার নির্দ্দেশে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল তাহার সদুত্তর কেহই দিতে পারে নাই। “ঘুষ দিলে গতি না দিলে দুর্গতি” এই পদ্বতিতে ঘুষের বিনিময়ে নামজারি দেওয়া হচ্ছে। হাজার হাজার নামজারিতে কোটি কোটি টাকার ঘুষ মিশনের কাজ চলছে। দেশ স্বাধীন এর আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহন করে জমি সরকারী ভাবে ডিসি এলও অফিস হইতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বুঝিয়ে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে নিয়েছে। অধিগ্রহনের বাহিরে থাকা জমি এস এ ,আর এস, ও বি আর এস রেকর্ডে জন সাধারনের  নামে সঠিক ভাবে রেকর্ড ভ‚ক্ত হয়েছে।

অথচ এল এ অফিসের তথ্য সংগ্রহ থাকা সত্বেও আংশিক অধিগ্রহনের বাহিরের  দাগের ভ‚মি কে জেনে শুনে এল এ দাগ অজুহাতে হয়রানী করে পরবর্তিতে ঘুষের বিনিময়ে নামজারী দিচ্ছে, ঘুষ না দিলে  নামজারী দিচ্ছে না। যেহেতু প্রত্যেক মৌজার সব ভ‚মি বি আর এস রেকর্ড  রেকর্ডভুক্ত হয়েছে, সেহেতু বি আর এস রেকডের্ কোন জমিটি  সরকারী খাস, এল এ দাগ, সরকারি স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনায়িন ইত্যাদি সুনিদ্দিষ্ট ভাবে দাগ নাম্বার সহ ডিমারগেশন আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অফিসে আছে। কারন সরকারী খাস, এল এ দাগ, সরকারি স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনায়িন ইত্যাদি সুনির্দ্দিষ্ট দাগ নাম্বরের ডিমারগেশন ও তালিকা থাকা একান্ত আবশ্যক। দস্তখত ও সীল  বিহীন অসত্য তৈরী তালিকা দিয়ে হাজার হাজার বিআরএস দাগের ভ‚মির হাজার হাজার মালিক কে হয়রানি ও কোটি কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের সিন্ডিকেট এর অত্যাচার অবশ্যই চাকুরীর বিধি ও মানবাধিকার লঙ্গন। সরকার এবং জেলা প্রশাসক অফিস অবশ্যই কোটি কোটি টাকার ঘুষ আদায়ের সুযোগ সন্ধানী দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের  প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অফিসে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে যে, জেলা প্রশাসক অফিস সতর্কতার সহিত সরকারী ভ‚মি সুরক্ষার নির্দ্দেশনা দিয়েছেন। এই সুযোগে ঘুষের গডফাদারগন  সরকারী হালট, খালের অল্প কিছু জমির জন্য দুর্নীতির মাধ্যমে এলাকার সব মালিকানা জমির নামজারী “পার্টখাস” অজুহাতে বন্ধ করে কোটি কোটি টাকা ঘুষ আদায় করে নামজারী করে দিচ্ছে।  নিরীহ জনসাধারণ মাননীয় ভ‚মি মন্ত্রী মহোদয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসক এর নিকট ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের যথাযত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন কামনা করছে।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here