উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে এক লম্পট গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ঐ লম্পটের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা অসহায় পরিবার। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের ইদ্রিছ আমিন সিকদারের লম্পট ছেলে জিয়াউল সিকদার(৩৫) গত শুক্রবার দুপুরে একই গ্রামের ৩ সন্তানের জননী(৩৩) এর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে পানি খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে গৃহবধুকে একা পেয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় হঠাৎ করে তার স্বামী দরজা নক করে। টের পেয়ে ধর্ষক জিয়াউল গৃহবধুকে কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে পিছনের দরজা খুলে দ্রুত পালিয়ে যায়। গৃহবধু সরল মনে স্বামীকে লম্পটের কূ-কৃতির কথা জানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় লোকলজ্জায় কিছুক্ষন চুপ থাকলেও পরে রাতে গ্রাম পুলিশ আজিজুল হাওলাদারকে জানায় তিনি মামলা করার কথা বলে কিন্তু ঐ প্রভাবশালীদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে কোন উপায়ন্তু না পেয়ে লম্পট জিয়াউল সিকদার ও তার পিতা দুজনে মিলে শনিবার সকালে গৃহবধুর স্বামীর পায়ে ধরে মাপ চেয়ে বলে আর কখনো ভূল হবেনা। শেষবারের মতো সুযোগ দিন এবং হুমকী দিয়ে বলে মাপ চাওয়াতে যদি না হয় তাহলে আমার সাথে টিকতে পারলে মামলা করতে পারেন। ঘটনার ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কতিপয় প্রভাবশালী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন জিয়াউল সিকদার ইতিপূর্বে একাধিক নারী কেলেংকারী ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। এমনকি স্কুল,মাদ্রাসার ছাত্রীরা প্রায়ই তার ইভটিজিংএর স্বীকার হয় এবং গাজা সেবন থেকে শুর করে এলাকার বিভিন্ন কূকর্মের সাথে জড়িত। জিয়াউল সিকদার সাংবাদিকদের জানান শয়তানের চক্ররে পরে আমি অন্যায় করেছি। আমি ও আমার পিতা মিলে তাদের কাছে ভূল স্বীকার করে পায়ে ধরে মাপ চেয়ে মিমাংশা করেছি। গৃহবধুর স্বামী জানান ঘটনা সত্য তবে অপরাধী ও তার পিতা বার আমার পায়ে ধরে মাপ চাওয়ায় মাপ করে দিয়েছি।এব্যপারে এলাকাবাসী ঐ নারীলোভী লম্পটের বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধŸতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উজিরপুর মডেল থানার এস.আই(সেকেন্ড অফিসার) তৌহিদুজ্জামান জানান অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।