উজিরপুরে রহস্যে ঘেরা গণধর্ষণ মামলা ঘটনার ২দিন পরে হাসপাতালে ভর্তি, ৩ দিন পর থানায় মামলা

0
510

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে গৃহবধু গণধর্ষণ মামলাটি যেন রহস্যে ঘেরা। ঘটনার ২ দিন পরে হাসপাতালে ভর্তি এবং ৩ দিন পরে থানায় মামলা দায়ের করেন গৃহবধু। পূর্ব শত্র“তার জেরে নিদোর্ষ ব্যক্তি জেল হাজতে। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের বিরাজ করছে। স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায় শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের হানিফ খানের সাথে একই বাড়ীর মৃত আজিজ খানের ছেলে খলিল খানদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এরেই ধারাবাহিকতায় ২০ সেপ্টেম্বর হানিফ খানের ছেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক রাকিব খাঁন(১৭) তার স্ত্রী লিমা খাঁন(১৫) কে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে একই বাড়ীর ভাশুর সম্পর্কে খলিল খাঁন(৪৫)কে ২নং আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় গনধর্ষন মামলা দায়ের করে। ঐ মামলায় ১নং আসামী করে ধর্ষীতার স্বামীর ফুফাত ভাই শামিম খাঁন(২১) কে। বাদীর পরিবার সুত্রে জানা যায় ঘটনার দিন ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধায় শামিম খাঁন ৩ টি তরল দুধের প্যাকেটে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। ঐ দুধ বাদী লিমা খাঁন(১৫),শশুর হানিফ খাঁন(৫০),স্বামী রাকিব খাঁন(১৭) পান করে অচেতন হয়ে পরে। ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে চেতনা ফিরে পেয়ে বাদী পরিবারের সবাইকে অচেতন দেখতে পান এবং নিজে ধর্ষিত হয়েছেন বলে অনুভব করেন। তিনি আরও জানান ঐ দিন গভীর রাতে স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে শামিম তাকে পেছনের খোলা বারান্দায় নিয়ে ধর্ষন করে। এসময় ২নং আসামী ব্যবসায়ী খলিল খাঁন ধর্ষন করেছে বলে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। অপরদিকে একই বাড়ীর ধর্ষিতার চাচী শাশুরী লোকমান খাঁেনর স্ত্রী(৬০),সালমা আক্তার নিরু(৩২),নাছিমা বেগম(৪০) জানান ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় মামলার বাদী লিমা ২নং আসামী খলিল খাঁনের বাড়ীতে গভীর নলকুপের পানি আনতে যায় এবং সকাল ১০টায় কাপড় ধোয়ার জন্য যান। বেলা ২টায় বাদীর স্বামী ১নং আসামীর বাড়ীতে গিয়ে বলে শামিম দুধের সাথে আমাদেরকে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে বাদীর বাড়ীতে লোকজন জড়ো হলে তাদের সামনেই বাদীকে তার স্বামী ও শশুর মারধর শুরু করে। এক পর্যায় বাদী অসুস্থ্য হয়ে পরে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ভাশুর জাহিদ হোসেন বাড়ীতে এসে লিমা ও তার বাবা হানিফকে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যপারে বাদীর মাতা জানান আমার মেয়ের শশুর ফোনে মেয়ের অসুস্থাতার জন্য আমার কাছে টাকা ধার চেয়েছেন এবং ১০/১৫দিনের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পাব, পেলেই পরিশোধ করব। আমি সবকিছু উপেক্ষা করে ঐ বাড়ীতে যাই কিন্তু পরিবারের কেহ মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয়নি। মিথ্যা মামলা করতে নিষেধ করায় ওরা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে ঘটনার ৩দিন পরে ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে লিমাকে দিয়ে উজিরপুর মডেল থানায় দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। ব্যবসায়ীর পরিবার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here