উজিরপুর প্রতিনিধি ঃ বরিশালের উজিরপুরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। নিখোঁজের ২দিন পরে তার হাত,পা বাঁধা অবস্থায় পাশ্ববর্তী নাজিরপুর উপজেলায় একটি খাল থেকে ধীরেন রায়(৭০) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলার সাতলার শিবপুর নবীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ধীরেন রায় এর সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তার জেড় ধরে ১৭ আগষ্ট রাত থেকে নিখোজ হন সভাপতি। ১৮ আগষ্ট ১২টায় তার ছেলে দিলিপ রায় বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি অপহরন মামলা দায়ের করলেও ১৯ আগষ্ট সকালে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। গতকাল ১৯ আগষ্ট সকাল ১০টায় নাজিরপুর উপজেলার পদ্মডুবি গ্রামে ডাকুয়ার খালে তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এ খবর জানতে পেরে নিখোজের আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নবীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭জুলাই প্রধান শিক্ষক কাশিকান্ত রায়কে নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়ে নিয়োগ বঞ্চিত সহকারী শিক্ষক সুনিল মাষ্টার একই এলাকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ রায় ও তার সহযোগী হরষিত, সুরেশ, প্রদিপ মাষ্টার এবং সাতলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইকবাল বালীর সাথে কিছুদিন পর্যন্ত দন্ধ চলে আসছিল। এ দন্ধের জেড় ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করে সাংবাদিকদের জানান নিহতের পরিবার। নিহতের ছেলে দিলিপ রায় জানান নিয়োগের পর থেকে সুভাষ রায় এবং কতিপয় শিক্ষক ও সন্ত্রাসী ইকবাল বিভিন্ন ভাবে আমার পিতাকে ভয়ভিতী ও হুমকী দিয়ে আসছিল। তারাই আমার পিতাকে হত্যা করেছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এব্যপারে উজিরপুর মডেল থানার এস.আই হাবিবুর রহমান ও আমির হোসেন জানান নিহতের দুই পায়ে ৮টি ইট বস্তায় ভরে ঝুলিয়ে দিয়ে খালেঁ ডুবিয়ে অবস্থায় পাওয়া যায়। ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান তাকে নিশ্চিৎ হত্যা করা হয়েছে। অপহরন মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নেয়া হবে। লাশটি সুরাতাহাল করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।