এ নিয়ে পাঁচবার এশিয়া অঞ্চলের সেরা আবেদনময়ীর খেতাব জিতলেন প্রিয়াংকা চোপড়া। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।হলিউড মাতানো দীপিকা পাড়ুকোন আছেন তালিকার তিন নম্বরে। চারে আছেন আলিয়া ভাট। ‘রইস’খ্যাত মাহিরা খান স্থান পেয়েছেন পাঁচে। আর এসব তারকাকে পেছনে ফেলে ২০১৭ সালে এশিয়ার সেরা আবেদনময়ী হয়েছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী
প্রিয়াংকা চোপড়া। তা-ও আবার একবার-দুবার নয়, এ নিয়ে পাঁচবার খেতাব জিতলেন কোয়ানটিকো তারকা। এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ইস্টার্ন আই পত্রিকা এশিয়া অঞ্চলের সেরা আবেদনময়ী নারীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। প্রতিবছরই এই তালিকা করে পত্রিকাটি। তালিকাটি করতে একটি জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপে সবচেয়ে বেশি ভোট পান প্রিয়াংকা চোপড়া। তাঁর পরেই আছেন টেলিভিশন অভিনেত্রী ও মডেল নিয়া শর্মা। পুরো তালিকা শুক্রবার প্রকাশ করা হবে। এই স্বীকৃতির খবর শুনে প্রিয়াংকা বেশ উচ্ছ্বসিত। তা বোঝা গেছে তাঁর প্রতিক্রিয়াতে। আজ বৃহস্পতিবার এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘এই পুরস্কারের জন্য আমার অবশ্যই বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। হা…হা…! এটি পুরোপুরি তাঁদের জিনের ফলাফল। আর প্রতি মুহূর্তে সবাই আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, সেটিই আমাকে পঞ্চমবারের মতো তালিকার প্রথমে নিয়ে গেছে। ধন্যবাদ ইস্টার্ন আই। আপনারা জানেন, কীভাবে একজন মেয়েকে তোষামোদ করতে হয়!’ মেয়ের কাজের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন মা মধু চোপড়া। প্রিয়াংকার প্রযোজনা সংস্থা পার্পল পেবল পিকচার্সের দেখভাল করেন তিনি। এ ছাড়া নায়িকা মেয়ের ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেন মধু চোপড়া। অন্যদিকে বাবা অশোক চোপড়া পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। ক্যানসারে ভুগে ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শুধু আবেদনময়ীই নয়, এ বছর সেরা ক্ষমতাবান নারীর কাতারেও নাম লিখিয়েছেন প্রিয়াংকা। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেওয়া সেরা ১০০ ক্ষমতাবান নারীর তালিকায় বিনোদন ও গণমাধ্যম বিভাগে ১৫তম স্থান দখল করেছেন তিনি। এ ছাড়া কোয়ান্টিকো টিভি সিরিজের জন্য দুবার পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডও জিতেছেন প্রিয়াংকা। সামনে আসছে তাঁর আরও দুটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র। এককথায় রমরমা সময় কাটাচ্ছেন প্রিয়াংকা।