সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে সমস্ত ঘটনাকে, সব লাশকে কার্পেটের নিচে লুকিয়ে ফেলতে চাচ্ছে সরকার। গণ-আন্দোলন রুখতে গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে চাচ্ছে বলে দাবি করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী।
মনীষা বলে, শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের কাচকে ভেঙেছে তা দেখতে যাচ্ছে অথচ পুলিশের গুলিতে নিহত দুই শতাধিক ছাত্র-জনতাকে দেখতে যায়নি। গুলিবিদ্ধ যারা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে তাদের সবাইকে দেখতে যায়নি। শেখ হাসিনার কাছে মেট্রোরেলের ভাঙা কাচের যে গুরুত্ব, মানুষের জীবনের গুরুত্ব তার কাছে নাই।মনীষা আরও বলে, আজকে বাম গণতান্ত্রিক জোট কোনো সহিংসতা করেনি, জ্বালাও-পোড়াও করেনি, ভাঙচুর করেনি। শান্তিপূর্ণভাবে একটি শোক মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেখানে বর্বরভাবে আমাদের অবরুদ্ধ করে কর্মসূচি করতে দেয়নি পুলিশ।
২৬ জুলাই শুক্রবার সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে নগরীর ফকির বাড়ি রোড বাসদ কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ-বিজিবি। এর প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলে ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী। পুলিশ বাধা দিয়ে শোক মিছিলটি সড়কে নামতে দেয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট জেলা শাখার সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজ খোকন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশ জাসদ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মীরন।
বক্তারা সমাবেশ থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার হত্যার বিচার ও হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে। সরকারের দেওয়া অগণতান্ত্রিক কারফিউ তুলে নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও যথাযথভাবে ইন্টারনেট চালু করার দাবি জানায়। এ সময় নেতৃবৃন্দ সরকারের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরে স্লোগান দেয়।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলে, কারফিউর মধ্যে সড়কে নেমে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে এজন্য পুলিশ ফকিরবাড়ি রোডে জড়ো হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে কর্মসূচি নিয়ে সড়কে কেউ নামেনি।