কিশোরগঞ্জে ধর্ষিত মনি আক্তারের রোহিঙ্গা শিশুর ন্যায় আরশ কাঁপানো আহাজারি

0
930

মোজাহারুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) হইতে
মনি আক্তারের পিতা লুৎফর রহমান নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দলিরাম মাঝাপাড়ার একজন ভূমিহীন নিঃস্ব ব্যাক্তি। একই পাড়ার ডিজিটাল প্রত্যারক নুরল কামারের ছেলে দেলাবর হোসেন ওরফে আকাশ (১৮) এর চরম হিং¯্রতার বিষাক্ত খপ্পরে পড়ে সবকিছু হারিয়ে বিয়ের প্রলোভনে সংসার বিহীন সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা শিশুর ন্যায় তাদের আরশ কাঁপানো আহাজারি। জানা যায়, অসহায় দিনমজুর লুৎফর রহমানের ২য় কন্যা মনি আক্তার (১৩) স্ত্রীর অধিকার ও তার তিন বছরের কন্যা সনÍান দিলরুবার পিতার স্বীকৃতির আশায় প্রশাসন ও এলাকার মহৎ প্রধানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এ বিষয়ে ঐ এলাকার পানের দোকানদার হেলাল উদ্দিন, আসাব উদ্দিন, আতিয়ার রহমান ও মেম্বার সুরুজ খান ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক আবু ছুফিয়ান জানান, মনি আক্তারের বয়স যখন ১১ বছর তখন প্রতিবেশি নুরল কামারের লম্পট ছেলে দেলাবর হোসেন প্রায় কুপ্রস্তাব দিত। রাজী না হলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিত। অবশেষে দেলাবর সুযোগ বুঝে তার পছন্দেও চারজন লোকের উপস্থিতিতে বিয়ে রেজিস্ট্রির কথা বলে সবুজ কাগজে পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া মনি আক্তারের স্বাক্ষর নেয়। প্রকাশ করে যে, আমাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হলো। আজ হতে আমরা স্বামী- স্ত্রী। মনি আক্তারকে সতর্ক কওে দেয়া হয় যে, তোমার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের কথা প্রকাশ করা যাবে না। তার পর থেকে মনি আক্তারকে যখনেই একা পেত তখনেই স্বামী- স্ত্রী রুপে সঙ্গম করতো। যখন ১৫/২০ সপ্তাহের অন্তসত্বা তখন মনির মা ও বাবা তার মেয়ের পরিণতির কথা জানতে পারে। মনির অসহায় মা- বাবা গর্ভবর্তী মনি আক্তারকে দেলাবরের বাড়ীতে নিয়ে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে বিবাহের কথা অস্বীকার করে। স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এফিডেভিট ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টসহ ৯/১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৬/১৫।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, ধর্ষক দেলাবরকে যে কোন মুহুর্তে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। নীলফামারী পুুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, যে কোন মূল্যে দেলাবরকে ধরা হবে। নীলফামারী র‌্যাব কমান্ডার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেস, দেলাবর কে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ধরা হবে।
এই ধর্ষিত মনি আক্তার কারো কাছে আর্থিক সাহায্য চায় না। তার সন্তান দিলরুবার পিতৃত্বের অধিকার চায়। এটাই তার জীবনের সর্ব্বোচ্চ চাওয়া পাওয়া। মনি আক্তার ফলাফল শূন্য হেতু নিরাশ হয়ে দেলাবরের বাড়ীতে গিয়ে দিলরুবাকে রেখে আত্বহত্যা করে জীবনের সমাপ্তি ঘটানোই তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। মনি আক্তার এ সব কথা বলে বিভিন্ন মহৎপ্রাণ ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার চলছে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here