আওয়ামী লীগ করার অপরাধে এবার নৃশংস হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা। বুধবার দিবাগত রাত একটার সময় নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর আহত হন ঝর্ণা। এসময় তার স্বামী একমাত্র সন্তানকেও মারধর করে
সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা রক্তাক্ত ঝর্না ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঝর্ণার স্বামী জিতেন্দ্র লাল চাকমা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে আমাদের বাসায় ঢুকেই ঝর্ণা চাকমাকে খুঁজতে খুঁজতে জোরকরে বাসার ভেতরে প্রবেশ করেই হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে ও আমার সন্তান রমন চাকমাকে এলোপাতারি আঘাত করতে থাকে। এসময় ভেতরের রুমে আমার স্ত্রীকে একাপেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপুরি আঘাত করে কোপাতে থাকে। এসময় আশেপাশের কয়েকজন এগিয়ে আসতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও বেধে রাখে। তিনি বলেন, হামলাকারি সকলেই উপজাতীয়। হামলার সময় তারা বারংবার বলতে থাকে যে, আওয়ামীলীগ কেন করস…আর কখনো আওয়ামীলীগ করবি কিনা? এই ধরনের কথা বলে আর কোপায়। প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী মারধর করে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, আবারো অত্যন্ত নোংরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি করে বলেন, আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যদি খোদ রাঙামাটি শহরেই এভাবে নৃশংস হামলা চালায়, তাহলে সাধারণ মানুষজন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে এবং সাধারণ মানুষজন নিরাপত্তা শংকিত হয়ে পড়বে। এটা কারো জন্যেই মঙ্গল বয়ে আনবে না। এই ধরনের কাপুরোচিত গুপ্ত হামলা না চালিয়ে সাহস থাকলে রাজপথে মোকাবেলার আহবান জানিয়ে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন চোরের মত রাতের আঁধারে কাউকে আঘাত করা কাপুরুষতার পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃনা জানাচ্ছি। তারা নিজেদের অবস্থান জেনে নোংরা খেলায় নেমেছে। এটার রেজাল্ট ভালো হবেনা। এ সকল সন্ত্রাসীরা দেশের শত্রু, জনগনের শত্রু, এরা শান্তিতে সহাবস্থানের শত্রু। তাই এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হবার।