মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ইসলামী আদর্শ আর অনুপ্রেরণায় ঈদের নামাজ পড়তে বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানে যান সকল বয়সের মুসলমান ভাইয়েরা।
শনিবার ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে দলে দলে মানুষ বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদে ছোটে ঈদের নামাজ আদায় করতে।কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুই উপজেলার ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল সাড়ে ৮-৩০মিনিটে। এমনিভাবে দুই উপজেলার সদর ও গ্রাম গঞ্জে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তারা,ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও নানা বয়সী মানুষ ঈদগাহে নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তির ও সমৃদ্ধি কামনাসহ বন্যা করলিত মানুষ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষনের জন্য মোনাজাত করা হয়।
সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে দু হাত তুলে বলেন “হে আল্লাহ, বালা মুসিবত থেকে বিশ্বের সকল মুসলমানকে হেফাজত কর।”বাংলাদেশে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করো। জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকোলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই। তবে বন্যা কবলিত মানুষ এবং রোহিঙ্গা মুসলমাদের মানবেতর জীবনের আলোচনা-অনুশোচনা ছিল সবার মুখে মুখে। দেখা যায় বিষয়টি দাগ কাটে প্রায় প্রতিটি মুসলিমকেই।
শুধু তাই নয়, জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এবারের ঈদ জামাত ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মাঝে জায়নামাজ হাতে ঈদের নামাজ পড়তে যান সকলেই।
তবে অপরদিকে এদিকে আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় ঈদ জামাতে ও পথে বৃষ্টির ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি মুসল্লীদেরকে।
ঈদ উপলক্ষে ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের সড়ক ও বহুতল ভবনগুলো সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। ঈদপুর্ব রাত থেকে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা ও ঝিলিমিলি বাতী মনকে দুলিয়ে দিচ্ছে অনাবীল উদ্দীপনা ও আনন্দে। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে ও কিশোর কিশোরীরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে শহর ও গ্রাম গঞ্জের আঁকা-বাঁকা সড়ক অলি-গলি আর মেঠো পথে।
সব মিলিয়ে কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী ও রাজিবপুরের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা।