মাজহারুল ইসলাম:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন,রাজিবপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নসহ। দুই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঠেকানো যাচ্ছেনা বাল্য বিয়ে। সরকার বাল্য বিয়ে বন্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও উপজেলা ভিত্তিক এসব কর্মকান্ডে সরকারী, এনজিও ও বিভিন্ন দপ্তরদের সঠিক পর্যবেক্ষণ ও কার্যকরি পদক্ষেপ না নেয়ায় কোন ক্রমেই চেয়ারম্যানদের অনুমতি, নিবন্ধন পত্র দিয়ে রেজিঃ ও বিনা রেজিষ্ট্রিতে বাল্য বিয়ে ঠেকানো যাচ্ছেনা। এনজিও গুলোর মনিটরিং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সম্বন্বয় হীনতার কারনে প্রত্যন্তঞ্চলে বাল্য বিয়ে বন্ধ না হয়ে বরং আরো বেশী হচ্ছে। এনজিও ও সরকারী ভাবে বাল্য বিয়ের আইন সম্পর্কে মাঝে মধ্যে আইন শৃঙ্খলা (মাসিক) সভায় সচেতনতা মুলক আলোচনা করলেও জন প্রতিনিধিদের মধ্যে ভোটের আশায় তারা কোন পদক্ষেপ তো নেয়া দুরের কথা তারাই নিবন্ধন দিয়ে এবং নিবন্ধন ছাড়া বাল্য বিবাহ ঘটছে অহরহ। শুধু মাত্র উপজেলা ভিত্তিক সভা সেমিনারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে না। শহর ও গ্রামাঞ্চলের কিছু চেলা পেলা ও টুটকা ঘটকের ইন্দোনে আইন প্রয়োগের বাধা সৃষ্টি করছে। এই কারনে এই উপজেলায় রেজিষ্ট্রি ও রেজিষ্ট্রি বিহীন বাল্য বিয়ে কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। ২০১৭ সালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২ মাসে রুসনে আরা ৭ম শ্রেণী, চায়না খাতুন ৮ম শ্রেণী, সিমু আক্তার ৯ম শ্রেণী, আকলিমা খাতুন ৬ষ্ট শ্রেণী, লিপি আক্তার ৭ম শ্রেণী, সম্পা আক্তার ৬ষ্ট শ্রেণী, আম্বিয়া আক্তার ৭ম শ্রেণী, হিরা মনি ১০ শ্রেনীসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই বয়সের আরো কত শিশুদের বাল্য বিবহ হয়েছে।
বাল্য বিয়ে রেজিষ্ট্রি নিয়ে ইতিপুর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজীদের কঠোর হস্তে দমনের ব্যাপারে অনেক বলার পরেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না এবং গত নভেম্বর মাসের ২০১৭ শেষের দিকে আইন শৃঙ্খলা সভায় জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতেও বাল্য বিয়ে বন্ধে কঠোর নির্দেশ মুলক আলোচনা হলেও কাগজ কলমে শেষ, বাস্তবে প্রয়োগ নেই।
এ বিষয়ে কাজীদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, আমাদের কিছু করার নেই, কারন আমরা চেয়ারম্যানদের নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত রেজিষ্ট্রি করিনা। সরকারের আইনকে আমরা শ্রদ্ধা করে চলি। তবে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শুনা যায় কিছু টুটকা ঘটক দালালদের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি ছাড়াই চুরি করে মৌলভী দ্বারা কলেমা পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করছে, এবং জেলায় উকিলদের মাধ্যমে এভিটএভিট করে উক্ত উকিলের কাছেই রেজিষ্ট্রি করনের বহি দেয়া থাকে এবং নির্দিষ্ট কাজী থাকে সঙ্গে সঙ্গে রেজিষ্ট্রি করে নিয়ে এসে এলাকার কাজী ও যারা বিবাহে বাধা দেয় তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সম্পূন্ন করে।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন বাল্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে এবং ১/ ২ মাস আগে বাল্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এমন বর, কনের অভিভাবক কাজী, মৌলভী ও নিবন্ধন দেয়া চেয়ারম্যানদেরকেসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা আবশ্যক।