নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠ ততোই উত্তপ্ত হচ্ছে। ক্ষমাতসীন দল ক্ষমতা ছাড়বে না। এদিকে বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো সরকার পতনের ডাক দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও পদযাত্রা পালন করছে। গত এক বছরে বিরোধী দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে তা ক্ষমতাসীন সরকারকে একটুকুও নড়াতে পারে নাই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের সরকার বিরোধী সকল কর্মকান্ডের ফলাফল জিরো। এমনটাই মন্তব্য করছেন সাধারণ মানুষও। অনেকদিন যাবতই শোনা যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজনৈতিক পরিবর্তন চায়। ভোটের অধিকার ফেরত চায়। কিন্তু এই পরিবর্তন আসবে কিভাবে এটাই প্রশ্ন। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি সহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকান্ডের ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। বিএনপির বড় মাপের নেতা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও শমসের মবিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এতে বিএনপির অপুরণীয় ক্ষতি হয় বলে দলেরই একাধিক নেতাদের কাছ থেকে শোনা যায়। কোন প্রকার পার্শ প্রতিক্রীয়া না ভেবে এভাবে দল থেকে বড় নেতাদের বহিষ্কার করে ও অদূরদর্শিতার কারণে বিএনপি আজ নেতৃত্ব শুন্য। বহিষ্কৃত নেতা তৈমুর ও শমসের মবিন তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন।
শুধু তাই নয় তারা গণমাধ্যমের সামনে ঘোষনা করেন যে, তারা বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে এবং সরকারের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। এটা বিএনপির জন্য কতটু আত্মঘাতি তা সময়েই বোঝা যাবে। বহিষ্কৃত এসব নেতাদের এমন ঘোষনায় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। সোসিয়াল মিডিয়ায় অনেকে মন্তব্য করেন, মীর জাফরকে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল, শমসের মবিনকে দেখে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।
তৈমুর ও মবিনের মত আরও অনেকে বিএনপি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল বিএনপি বা অন্য দলে যোগদান করবে বলে রাজনৈতিক মাঠ থেকে আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পেছনে বিএনপি জড়িত। এই নেতার এমন বক্তব্যে গোটা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলছেন দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির আন্দোলন সফল হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে।