ঘুষ গ্রহণের মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত-সমালোচিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়ার আদালতে শ্যামল কান্তির উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।
একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের দায়ের করা মামলায় এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
ঘুষ গ্রহণের মামলার ৪টি ধারায় শ্যামল কান্তিকে অপরাধী দাবি করে অভিযোগ পড়ে শুনিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।
একই সময় শ্যামল কান্তি ভক্তকে শিক্ষক ও নিরপরাধ দাবি করে তার আইনজীবী মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারি করে আগামী ১২ ডিসেম্বর সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় শ্যামল কান্তি স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিনেতা হাসান ফেরদৌস জুয়েল এর সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে জানান, অসৎভাবে প্ররোচনা দেয়া, বিশ্বাস ভঙ্গ করা, প্রতারণা করা এবং ঘুষ নেয়ার অপরাধে শ্যামল কান্তি ভক্তকে অপরাধী দাবি করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আসামি শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমরা সুবিচারের আশায় মামলাটি থেকে শ্যামল কান্তিকে অব্যাহতির আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষী ডেকেছেন। আশা করছি, শ্যামল কান্তি স্যার সুষ্ঠু বিচার পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্যামল কান্তি ভক্ত একজন শিক্ষক মানুষ, নিরপরাধ। পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্যই এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত বছরের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবোস করানো হয়।
এ ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ জুলাই এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়।
দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে।