সংবাদদাতাঃ
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুত সমিতির চাটখিল জোনাল অফিসে দালাল ও ইলেকট্রিশিয়ানদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরা অফিস দখল করে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রেখেছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেও বন্ধ হচ্ছে না এদের অপকর্ম।
জানা যায়, সরকার ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে ১০টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনবে। এর মধ্যে চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলাও রয়েছে। কিন্তু দালালদের অপকর্মে অফিসের স্বাভাবিক কর্মকা- যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে তাতে সরকারের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
এক দিকে পুরো এলাকায় নতুন বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুত সংযোগের কাজ চলছে, অন্যদিকে নতুন লাইন নির্মাণের জন্য এখনো আবেদন পড়ছে। এখনো অফিসে প্রায় ৯৮০টি আবেদন জমা পড়ে আছে। নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে বিদ্যুত সংযোগের আবেদন করার কথা থাকলেও দালাল ছাড়া বিদ্যুতের খুটি ও মিটার পেয়েছে এমন কোনো নজির নাই। এখানে প্রতিটি খুটি পুঁততে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং মিটার সংযোগে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় দালাল ও ইলেকট্রিশিয়ানদের। এতে ঠিকাদাররাও পিছিয়ে নেই। স্বাভাবিকভাবে এখানে কোনো কাজ হয় না। দেড়শ দালাল ও ২৫-৩০ জন ইলেকট্রিশিয়ান এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এরা সেবা নিতে আসা লোকজন থেকে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং পল্লী বিদ্যুতের সমস্ত কাজ এরাই নিয়ন্ত্রণ করছে। এই জোনাল অফিস থেকে ইলেকট্রিশিয়ান নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনের ফাইল চুরি হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, তিনি নিজে পল্লী বিদ্যুত অফিসে গিয়ে দালাল ও ইলেকট্রিশিয়ানদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
ডিজিএম গোপাল চন্দ্র শিব এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।