এস.এম আওলাদ হোসেন ঃ চাটুকারিতা অপচর্চা আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে পিছিয়ে পড়ছে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিকতা। অপসাংবাদিকতা ছড়িয়ে মাত্রাতিরিক্ত। এখানে সাংবাদিকতা আছে, আছে সংবাদ পত্র। সাংবাদিক এবং সংবাদ প্রত্রের পাশা-পাশি বেড়ে গেছে চাটুকারিতা আর তেলা-তেলিতে। অন্যায়ের প্রতিবাদ কিংবা গঠন মূলক সমালোচনা আলোচনা তো দুরের কথা তেলা তেলিতেই ভেসে যাচ্ছে এখন স্থানীয় বেশীর ভাগ পত্রিকার পাতা গুলো। অনেক সাংবাদিক চাটুকারিতার ঝুড়ি আর তেলের বোতল নিয়ে ব্যাগ কাঁধে করে জেলার কর্তা ব্যাক্তিদের পাশে পাশেই থাকতে চান। তেলে তেলে আস্থা অর্জন আর দালালীতে প্রথম সারীতে অবস্থান এদের মূল উদ্দেশ্য। এসব সাংবাদিকরা তথ্য বিভ্রাটের মাধ্যমে তেলে তেলে ভাসিয়ে দিতে চান সাংবাদিকতা শব্দ টিকে। অন্যদিকে জেলার বেশীর ভাগ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এখন নতুন করে সাংবাদিকতার খাতায় নাম লেখাচ্ছেন। রাজনৈতিক অপচর্চায় মন না ভরায় এবার হাতিয়ার হিসেবে সাংবাদিকতা টাকে বেচে নিয়েছেন। শুরু করেছেন ডাল হিসেবে ব্যবহার। সাংবাদিকতা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না থাকায় এরা সাংবাদিকতা টাকে ও নির্ধিদায় অপচর্চা করে যাচ্ছেন। একই সাথে লক্ষ¥ীপুরে সংবাদপত্র জগতে সম্পাদক/প্রকাশক হওয়ার হিড়িক পড়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা নেই মেন ব্যক্তিরা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক হচ্ছেন। আবার অনেকে পুরোনে প্রকাশিত পত্রিকা গুলো নিয়তি প্রকাশের অঙ্গিকার অথবা ক্রয় সূত্রে ডিক্লারেশনের মালিক হয়ে সম্পাদক হচ্ছেন। তাতে জেলার বিজ্ঞ মহল মরে করেছেন এখন লক্ষ্মপুরে পত্রিকার সম্পাদক হওয়ার মৌসুম চলছে পাশা-পাশি চলছে সাংবাদিক সংগঠনের অভিজাত। এত সাংবাদিক সংঘঠন লক্ষ্মীপুরে এত সভাপতি-সম্পাদক যে শুধু জেলা বাসী নয়। এ জেলার কর্মরত সকল সরকারী- বেসরকারী কর্মকর্তারা হতভাক। তারপরও বলব কর্তা ব্যক্তিরা পাত্তা না দিলেও জেলার সাধারন মানুষ বরাবরের মতই স্বীকার হচ্ছেন-চাটুকারিতা, অপচর্চা, রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত লক্ষ্মীপুরের অপসাংবাদিকতার হাতে। স্থানীয় পত্রিকা গুলোকে নিরপেক্ষ ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ এবং মান-সম্পূর্ণ সাংবাদিকতায় ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনকে তবেই ফিরিয়ে আসবে লক্ষ্মীপুরের মূল সাংবাদিকতার ধারা।
এস.এম আওলাদ হোসেন