সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোড ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কের জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা দখল করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে চাঁদাবাজরা। চাঁদাবাজদের গডফাদারদের অন্ধকার থেকে বের করে জনসম্মুখে আনার দাবিও জানান সচেতন মহল। সচেতন মহলের দাবি এসব চাঁদাবাজদের আশ্রয়-পশ্রয় যারা দিচ্ছে তারা এক সময়ে নিজেদের স্বার্থের জন্য কখনো বিএনপি আবার কখনো আওয়ামীলীগ। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তারা গুরু মারা শিষ্য হয়ে যায়। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাতে। চিটাগাংরোডে বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি করছে ওরা কারা ? ওরা আর কেউ না কিছু বখাটে ভাড়াটে চাঁদাবাজ। এলাকার প্রভাবশালীদের ভাড়া করা চাঁদাবাজ ইয়াছিন, করিম, শামীমসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময়ে ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হকারদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের নির্দেশে এসব টাকা তুলছেন চাঁদাবাজরা। যেন এসব চাঁদাবাজদের দেখার কেউ নেই। চিটাগাংরোড রেন্ট কার থেকে থেকে শুরু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত অবৈধ ভাবে দোকানপাট উঠিয়ে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন দিন এসব চাঁদাবাজরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হকাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের নির্যাতনও করছে প্রভাবশালীদের সেসব চাঁদাবাজরা। হকাররা আরো জানান, চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশে এসব চাঁদা আদায় করে। তবে কাউন্সিলররা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , ইয়াছিন , করিম, শামীম নামে কাউকে তারা চিনেন না। তবে তারাও শুনেছেন চিটাগাংরোডে তারাই চাঁদাবাজি করছে। এলাকাবাসী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা জানান, যাদের নির্দেশে চিটাগাংরোডে চাঁদাবাজি হচ্ছে তারা বর্তমান আওয়ামীলীগের কেউ না। এসব চাঁদাবাজদের গডফাদাররা একসময়ে বিএনপি জামায়াত জোটের অর্থ যোগানদাতা এবং তাদের বিরুদ্ধে জ্বালাও পোড়াও মামলা রয়েছে। এখন তারা নিজেদের আওয়ামীলীগ নেতা দাবি করে জনগনকে ধোকা দিচ্ছে এবং দলের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। তাই এসব নামধারী নেতা ও চাঁদাবাজদের গডফাদারদের গ্রেফতার করার দাবি জানান এলাকাবাসী।