চিটাগাংরোডে সুগন্ধা হাসপাতলে চিকিতসার নামে মরন ফাঁদ

0
3209

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে উঠেছে অবৈধ শতাধিক হাসপাতাল। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নামিদামি ডাক্তারদের সাইনবোড লাগিয়ে সাধারন মানুষের সাথে করছে প্রতারনা। তেমনি চিটাগাংরোড অবস্থিত হালিমা মার্কেটে সুগন্ধা হাসপাতাল চিকিতসার নামে যেন রোগীদের জন্য মরন ফাঁদ। সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ থাকলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। চিকিতসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সুগন্ধা হাসপাতালে ভুল চিকিতসা অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও ব্যবস্থা নেয়নি নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জেন্ট। দিনদিন যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাধারন একজন রোগী সুগন্ধা হাসপাতালে আসলে প্রয়োজন ছাড়া তাদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পেট ব্যাথার কোন ধরনের রোগী সুগন্ধা হাসপাতালে আসলে তাদের অপারেশন করতে হবে এ ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে এলাকাবাসী হতাশ। সাধারন চিকিতসার বিষয়ে রোগীরা আসলে ৫শত থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত ফ্রি নিচ্ছে। চিটাগাংরোড সুগন্ধা হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোংরা পরিবেশ, অপারেশন থিয়েটারের অবস্থতা বেহাল দশা। নামি আর দামি ডাক্তার সাইনবোড লাগিয়ে রোগীদের দৃষ্টি আর্কষন করে তাদের হয়রানি করছে। গত এক বছরে বিভিন্ন এলাকার গর্ভবতি নারীদের অদক্ষ ডাক্তারের ধারায় অপারেশন করার সময়ে অনেক নারী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই হাসপাতালে। শুধু নারী ক্ষেত্রে এসব হচ্ছেনা পুরুষের ক্ষেত্রে হচ্ছে। গত ৬ মাস আগে চিটাগাংরোড আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের এক ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে আসলে তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই একটি ইনজেকশন ফুস করা হলে তার কিছু কখন পরে তার মৃত্যু হয়। পরে আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের মালিক হাবিবুল্যাহ হবুল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেন। প্রতিদিন ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন রোগী ষ্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন বলে সবাইকে জানান। সুগন্ধা হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মেশিন ভালো না বলে গোপন একটি সূত্রে জানাযায়।

Advertisement

হাসপাতালে আসা কয়েকজন রোগীর স্বজনরা বলেন, সুগন্ধা হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসে এখন তারা খুব বিপদে আছেন। হাসপাতালের চিকিতসার মান এত খারাপ তা তারা আগে বুঝতে পারেনি। রোগী নিয়ে এক থেকে দু দিন হাসপাতালে রোগী নিয়ে থাকার পরে ২০ হাজার টাকা একটি ভাউছার ধরিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এত টাকার হিসাব জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে। রোগী এব স্বজনদের সাথে দূর্ব্যবহার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই রোগী সুগন্ধা হাসপাতালের নাম দিয়েছেন কসাইখানা। ভুক্তভোগী রোগীরা এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন সুগন্ধা হাসপাতালে চিকিতসা না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন পাশাপাশি এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। এবং সুগন্ধা হাসপাতালটি সিলগালা করা দাবি তোলেন। সুগন্ধা হাসপাতাল শেল্টার দিচ্ছে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফায়দা লুটছেন তারা ক্ষতি করছেন সাধারন মানুষের। সুগন্ধা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভাব হয়নি। এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, সুগন্ধা হাসপাতালের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here