অপরাধ বিচিত্রা : সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, তারা জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে হয় উঠিয়ে নেওয়া হবে আর না হয় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেওয়া হবে।রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করলে, মানুষকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রমাণ প্রধান বিচারপতি। তাকে জোর করে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’খালেদা জিয়া আরোও বলেন, শুধু বিদেশে পাঠিয়েই নয়, বাইরে লোক পাঠিয়ে তাকে পদত্যাগও করানো হয়েছে। তিনি (বিচারপতি এস কে সিনহা) বলেছিলেন- সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় -এ কথার কারণে আজকে তাকে বিদায় নিতে হলো।’নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন নিয়ে ইসি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারে না।নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএম বন্ধ , সেনাবাহিনীকে নামিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। ‘এমনকি সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দিতে হবে যাতে তারা কাজ করতে পারে। আর সেনাবাহিনী না দেওয়া হলে ক্ষমতাসীন দল কেন্দ্র দখল করে মানুষের ওপর অত্যাচার চালাবে। ভোট চুরি করবে।’
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা জনসভা করছি। আপনারা জানেন, ৭ নভেম্বর আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা সরকার দেয়নি। আজ জনসভার অনুমতি সরকার দিলেও এটি যেনো সফল না হয় তার জন্য নানা রকমের বাধা সৃষ্টি করেছে। যার কারণে জনগণকে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। সমস্ত পাবলিক পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বেগম জিয়া। এমনকি সমাবেশে পৌঁছাতে যাতে না পারি সেজন্য আমার রাস্তাও বাস দিয়ে আটকে রাখা হয় বলেও মন্তব্য করেন বেগম জিয়া। রোববার বিকেল ৩টার দিকে গাড়িবহরে সমাবেশে পৌঁছান তিনি। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে পোঁছানোর উদ্দেশ্যে বেলা ২ টার দিকে তিনি তার গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন।