বর্তমানে তামাক কোম্পানীগুলো বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং নানা কর্মসূচীতে নীতি নির্ধারকদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কতৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড” কর্মসূচীর আড়ালে এ ধরনের তামাকের প্রচারণামূলক কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
মূলত, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী (বিএটিএ) “ব্যাটেল অব মাইন্ড” কর্মসূচীর আড়ালে তামাকের প্রচারণা কর্মসূচী নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ তরুণীদের মধ্যে এ প্রচারণা চালাচ্ছে।
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি, নিজেদের পণ্যের ব্রান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই কোম্পানিটি প্রতিবছর এই মৃত্যুবিপণন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত এগারো (২০০৪-২০১৪) বছরে বিএটিবি কর্মসংস্থানের নামে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র ৭১ জনকে চাকুরি দিয়েছে। অথচ রোডশো, ভ্রমণ, বিনোদন, মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে এ সময়ে ব্যয় করেছে কোটি কোটি টাকা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমেও তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ প্রত্যয় বাস্তবায়ন এবং অকাল মৃত্যু ও অসংক্রামক রোগ কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সকলকে একত্রে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তামাক কোম্পানীর প্রচারণা, উৎসাহ প্রদাণ, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।