জরুরী মামলা পড়ে আছে সেগুলোতে সময় দেয়া হয় না খুচরা মামলা নিয়ে সময় কেন?

0
1018

অপরাধ বিচিত্রা প্রতিবেদক

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরিীক্ণার বৈধতা নিয়ে উথ্থাপিত  এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সনতা বলেছেন আদালতে অনেক জরুরী মামলা পড়ে আছে। সেঘুলোকে সময় দেয়া হয়না অথচ কম গুরুত্বপুর্ন বিষয়গুলোতে বেশী সময় দেয়া অথচ খুচরা জিনিস নিয়ে সময় কাটায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে লাখ লাখ মামলা পড়ে আছে, তার কোনো খবর নাই। আর বাচ্চারা পরীক্ষা দেবে কি দেবে না সেটা নিয়েও মামলা করে বসে থাকে। সেটা নিয়েও রিট হয়। সেটা নিয়ে কোর্ট সময় কাটায়। অথচ অনেক জরুরি মামলা আছে। ’গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের পয়েন্ট অব অর্ডারে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে একই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বক্তব্য দেন।উল্লেখ্য, পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টে রিট করেছেন।গত বছরের ৩১ আগস্ট আদালত এ পরীক্ষা পদ্ধতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন। এ রিটের কথা উল্লেখ করেই জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ওই দুটি পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি ওই পরীক্ষা পদ্ধতির সমালোচনাও করেন।জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছেলে-মেয়েদের কল্যাণের জন্য এটা করছি। আমরা উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছি। হয়তো দেখা যাবে কোনো একদিন কেউ রিট করে বসে থাকবে যে কেন আমরা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছি। বাংলাদেশে কিছু লোক যেন আছেনই অনবরত রিট করা আর এটার ওপর আলোচনা করার জন্য। ’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আদালত কী রায় দেবেন। পড়াশোনা বন্ধ করার যদি রায় দেন, এর থেকে দুঃখের আর কিছু থাকবে না। ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি আমিই চালু করেছি। দায় যদি কিছু হয় সেটা আমার। আগে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য হাতে গোনা কয়েকটি ছেলে-মেয়েকে বাছাই করে তাদের আলাদাভাবে শিক্ষকরা পড়াতেন। শিক্ষকরাই ঠিক করে দিতেন কোন ছেলে-মেয়ে বৃত্তি পরীক্ষা দেবে। অন্য শিক্ষার্থীদের দিকে শিক্ষকরা নজর দিতেন না। কেন তারা বঞ্চিত হবে?’সংসদ নেতা বলেন, ‘এসব দিক বিবেচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সবাই পরীক্ষা দেবে। মেধাবী ও গরিব ছাত্র-ছাত্রীরা বৃত্তি পাবে। পরীক্ষা শেষে তারা একটি সার্টিফিকেট পাবে। এতে এসব ছাত্র-ছাত্রীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ’প্রশ্নকর্তা জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষাব্যবস্থা চালু করায় ছাত্র-ছাত্রীরা কি পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে না? পাসের হার কি বাড়ছে না? কোচিং বিষয়টি অন্য। এ ক্ষেত্রেও আমার প্রশ্ন, আগের নিয়মে যখন পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা হাতে গোনা কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে বাছাই করে আলাদা পড়াশোনা করান, সেটিও তো এক ধরনের কোচিং। শিক্ষকরা বৃত্তির নামে ১০-১২ ছেলে-মেয়েকে পড়াবেন কেন? সবাইকে পড়াবেন। ’

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here