স্টাফ রিপোর্টারঃ ঈদুল আযহার নামাজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার পাশাপাশি হিযবুত তাহেরীর লিফলেট বিতরণ করার অভিযোগে সাত জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধনী ২০১৩) আইনের ৮/৯(১)/১২/১৩ ধারায় মামলা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। থানায় দায়েরকৃত মামলা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে, গত ২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের মন্দভাগ উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের ইমাম মাওলানা গিয়াস উদ্দিন (৪২) খুতবা পাঠসহ ধর্মীয় বিষয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশ্য বয়ান করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) হচ্ছেন আমাদের জাতির পিতা। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন যা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আতœজীবনীসহ তাহার উপর রচিত ও জীবনীমূলক সকল বই পড়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। উপস্থিত মুসল্লীগণ এহেন বক্তব্য শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন হিযবুত তাহেরীর পতাকা তলে সমবেত হওয়ার জন্য এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ৫১টি লিফলেটসহ আলী মিয়ার পুত্র মাওলানা গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে থানা নিয়ে আসেন। কায়েমপুর ইউনিয়নের মন্দভাগ গ্রামের মৃত অদু মিয়ার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৭ (৯) ২০১৭। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, জাতির পিতাকে নিয়ে কটুক্তি করায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ১জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা
চলছে।