বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ অষ্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে অনুষ্ঠিতব্য জার্মান-অষ্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফান্সে যোগ দিতে গতকাল (১ নভেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আগামী ৩-৫ নভেম্বর এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। অষ্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতায় জার্মান-অষ্ট্রেলিয়া চেম্বার অফ ইন্ডাষ্ট্রি এন্ড কমার্স এ কনফান্সের আয়োজন করেছে। অষ্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী সিনেটর মাথিয়াস কোরম্যান ও মিনিস্টার ফর ট্রেড, ট্যুরিজম এন্ড ইনভেস্টমেন্ট স্টিভেন সিওবো,এমপি এবং জার্মান সরকারের ফেডারেল মিনিস্টার ব্রিজিটি জিপরোজিস,এমপি আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কনফারেন্সে যোগদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন।
এ সময় তোফায়েল আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী সিনেটর মাথিয়াস কোরম্যান(Mathias Cormann), সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী হন এ্যাড্রিউ রব (অহফৎবি জড়নন), জার্মানীর ইকোনমিক এফেয়ার্স এবং এনার্জি বিষয়ক ফেডারেল মিনিস্টির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ইউউয়ে বেকমিইয়ার (টবি ইবপশসবুবৎ)সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্মেলনে এ অঞ্চলের সরকারের গ্ররুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীগণ অংশ গ্রহণ করবেন। এ সময় বিজনেসম্যানদের সাথে বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধি(বি টু জি) এবং ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যবসায়ীদের( বি টু বি) আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। জার্মান-অষ্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফান্স এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের রাজনীতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমুহ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্লাটফর্ম। সম্মেলনে এ অঞ্চলের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও খাত সমুহ চিহ্যিত করার সুযোগ হবে। এছাড়া ডিজিটালঅইজেশন, নতুন টেকনোলজি, প্রতিরক্ষা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প, শক্তি ও সম্পদের প্রাপ্যতা, নিয়ে আলোচনা করা হবে। স্ট্রেলিয়া এবং জার্মানী বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। গত বছর বাংলাদেশের তৈরী পোশাকি রপ্তানি জার্মানীর বাজারে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে তৈরী পোশাকের বাইরে বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য রপ্তানির চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য এ সম্মেলন একটি বিষেশ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যেখানে সরাসরি এ দু‘টি দেশসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের গুরুত্বফ’র্ণ প্রতিনিধিদের নিকট বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিশীলতা, সক্ষমতা এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। তোফায়েল আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার ট্রেড মিনিষ্টারসহ আগত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সেশনে বক্তব্য রাখবেন। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফরিদা ইয়াসমিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।