আর্ন্জাকতক ডেস্কঃ সেনা অভ্যুত্থানকে অনিচ্ছা ও অনীহা নিয়েই স্বাগত জানিয়েছে জিম্বাবুয়ের সাধারণ মানুষ। তবে গুরুতর লড়াই বা সংঘর্ষের কোনো খবর পাওয়া যায় নি। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ‘নিরাপদে ও সুস্থ’ আছেন। সূত্র: বিবিসিঅন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা জানিয়েছেন, তিনি মুগাবের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইঙ্গিত দেন, মুগাবে নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন, তবে ভালো আছেন।জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের বাসিন্দারা আশা করছে যে, এইবারে হয়তো মুগাবে যুগের অবসান ঘটবে।ক্ষমতাসীন দলের সদস্য যদিও বলছেন, সাবেক বিদ্রোহী নেতার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন।মি. মুগাবের স্ত্রী গ্রেস মুগাবে যিনি তাকে সফলতার জন্য সহযোগিতা করেছিলেন তিনি নামিবিয়াতে পালিয়ে গেছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে।তবে মি. মুগাবেকে গ্রাম অঞ্চলের বহু মানুষ এখনও তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।জিম্বাবুয়ের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্ববান জানিয়েছেন, জাতিসংগের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস।আফ্রিকা ইউনিয়ন জানিয়েছে, যেসব সৈন্যরা ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে তারা তাদের এই পদক্ষেপটিকে একটি সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছে। তবে জিম্বাবুয়ের বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি সেনা অভ্যুত্থানের মতো বলে তারা মনে করছে।আফ্রিকা ইউনিয়ন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেছেন, সরকারের অসাংবিধানিক কোন পরিবর্তন গ্রহণ করা হবে না।জিম্বাবুয়ের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার টিম জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মি. মুগাবের জায়গায় কে ক্ষমতায় আসবে তা নিয়ে একটি দ্বিধা দেখা দিয়েছে।যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার পর অর্থাৎ ১৯৮০ সাল থেকে এই পর্যন্ত দেশটির রাজনৈতিক দৃশ্যপটে মি. মুগাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা চর্চা করে এসেছেন।