জ্বলছে ফিলিস্তিন, মুসলিম বিশ্ব নিরব হাসপাতালে, মসজিদ, বসতিতে গনহত্যা। অমানবিকতা ও নৃশংসতার সকল রেকর্ড ভঙ্গ করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরাইল।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামি হামাসের রকেট হামলার পর পরই ফিলিস্তিনের ওপর শুরু হয় ইসরাইলী বর্বর হামলা। এই হামলার নগ্নতা বিশ্বের অতিত সকল নগ্নতাকে হার মানাবে। হামাস ইসরাইলে রকেট হামলা করে।
কারণ তারা বছরের পর বছর নিজের একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া পার্শবর্তী ইসরাইল কিছুদিন পর পরই বিনা কারণে ফিলিস্তিনের ওপর বর্বর হামলা চালায়। হামলা করে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের বসতবাড়ির ওপর যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে।
এর ফলে অবাসিক বাড়ি ধ্বংস হচ্ছে ও নিরস্ত্র লোক মারা যাচ্ছে। ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আক্রমন ও জুলুমে টিকতে না পেরে হামাস সর্বশেষ ইসরাইলে রকেট হামলা চালাতে বাধ্য হয়। এই হামলার প্রতিউত্তরে ইসরাইল ফিলিস্তিনে অবিরাম বিমান থেকে বোমাবর্ষন করছে ও ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করছে।
অবশেষে ইসরাইলী সামরিক বাহিনী গাজার চারপাশ ঘিরে ফেলে। ওদের বোমা ও গোলা বর্ষনের নগ্নতা এতটাই প্রকট যে, ফিলিস্তিনের মানুষের বসতবাড়ি ভেঙে ধুলায় মিশে যাচ্ছে। হাজার লোক খোলা আকাশের নিচে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা ছাড়া বাস করছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে জেনারেটর দিয়ে আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। ইসরাইল ফিলিস্তিনের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
বাইরে থেকে কোন খাবারও সেখানে পৌছতে দেওয়া হচ্ছে না। বাসাবাড়ির ওপর কাপুরুষের মত বোমা মেরে নারি ও শিশুদেরকে পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। আহত শিশুদের চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। এই নগ্ন হামলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে তীব্র প্রতিবাদ ও মিছিল হচ্ছে।
কিন্তু এই মিছিল ও প্রতিবাদ ফিলিস্তিনিদের কি রক্ষা করতে পারছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ইসরাইলের এই নগ্ন হামলাকে সমর্থন করছে। মানতবতার নজিরবিহীন লঙ্ঘনকে প্রতিহত করার জন্য ও জ্বলন্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোন মুসলিম দেশকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গোটা মুসলিম জাহানকে এই লজ্জা স্পর্শ করছে কিনা আমরা জানি না। তবে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশেকে স্মরন রাখতে হবে আজকে ফিলিস্তিনিদের চরম দূর্দিনে কোন মুসলিম দেশ পাশে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না। ভবিষ্যতে কোন মুসলিম দেশ আক্রান্ত হলে বাকি সকল মুসলিম দেশ একইভাবে নিরব থাকবে। হায় রে মানবতা, হায় রে মুসলিম বিশ্বের বিবেক।