স্টাফ রিপোর্টার ঃ
যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্মসমূহ পরিদপ্তরের সহঃ রেজিষ্ট্রার হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পদোন্নতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯২ সালে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন হারন-অর-রশিদ। কুটকৌশলী হারুন অর রশিদ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নাম ভাঙ্গিয়ে অফিস সহকারী থেকে উচ্চমান সহকারী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ইন্সপেক্টর পদ টপকিয়ে এক্সামিনার অব একাউন্টস পদ দখল করেন। কর্তৃপক্ষ হারুন অর রশিদকে ইন্সপেক্টর পদে সুপারিশ করলে কৌশলে হারুন অর রশিদ হাতিয়ে নেন এক্সামিনার অব একাউন্ট পদ। হারুন অর রশিদের পদোন্নতি নিয়ে বৈধতার প্রশ্ন উঠে। ঘুষ দুর্নীতিতে দক্ষ হারুন অর রশিদ সহকারী রেজিষ্ট্রারীর পদটিও হাতিয়ে নেন। অফিস সহকারী হারুন অর রশিদ সহকারী রেজিষ্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সূত্রে জানায় ঘুষ ছাড়া কোন ফাইল স্বাক্ষর করেন না হারুন অর রশিদ। দালাল, সিন্ডিকেটেড নায়ক হারুন অর রশিদ নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দালাল সিন্ডিকেট ব্যবহার করে গাড়ী বাড়ী জমা জমি নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়িয়েছেন। খুলনার টুটপাড়ায় ও বসুপাড়ায় দুইটি বাড়ী ক্রয় করেন। দেশে জমা জমি ঢাকা নামে বেনামে প্লট ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ঢাকা মিরপুর থানা পিছনে ৬২ বড় বাগ, সেল কোম্পানীর বিল্ডিং নং- ০১, ৪র্থ তলায়, ৩৫০০ বর্গফুটের একটি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট ক্রয় করেন, যার মূল্য ১ কোটি টাকা। শাহ আলী টাওয়ার ৬ষ্ঠ তলা, ৩৩ কাওরান বাজারে একটি কন্সালটেন্সি অফিস রয়েছে। স্ত্রী এড মিথিলার নামে কন্সালটেন্সি ফার্মে অফিস চলাকালীন সময়েও হারুন অর রশিদ জয়েন্টস্টক কোম্পানী ক্লাইন্ট ও দালালদের নিয়ে অফিসে কাজ করে দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়। জয়েন্টস্টক কোম্পানীকে ঘুষ, দুর্নীতির আক্রা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সূত্র জানায়, হারুন অর রশিদ নীতি নৈতিকতাকে ভুলে কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে দুদন্ড প্রতাপে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীরা থাকেন সদা তটস্ত। কেহ মুখ খুলতে ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পায় না। হারুন অর রশিদ মেঘ দেখে ছাতা ধরেন। খোলস পাল্টিয়ে বর্তমান সরকারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করতে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তার নাম ভাঙ্গিয়ে এবং মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার কর্নেল, ডিআইজি, র্যাব কর্মকর্তা, এসপি তার আত্মীয় বলে বেড়ান, যাতে তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে সাহস না পায়। ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বৈশাখী মাল্টিমিডিয়ার শেয়ার বরাদ্ধের বিবরণী একজন উপস্থাপনকারী ক্লার্ক হিসেবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই নিজ ক্ষমতা বলে কোম্পানীর সাথে যোগসাযসে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে বাতিল করে দেন এবং কোম্পানীর শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মূল্য কম দেখিয়ে ভূয়া চালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমান শেয়ার হস্তান্তর ষ্ট্যাম্প ফাঁকি দিয়েছেন, যাতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। হারুন অর রশিদ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত এলএলবি ডিগ্রী অর্জন ও সার্টিফিকেট অফিসে দাখিল করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে নোটিশ প্রদান করলে পরবর্তীতে নথিটির হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এমনিভাবে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে ফাইল গায়েব করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। হারুন অর রশিদের পদোন্নতি ক্ষমতার অপব্যবহার ঘুষ দুর্নীতি নামে বেনামে সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল ও ভূক্তভোগীদের দাবী। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন-সচেতন মহল দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। দুর্নীতিমুক্ত জয়েন্টস্টক কোম্পানী দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও সমৃদ্ধ দেশ সচেতন নাগরিকদের দাবী।