সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের এমএসএগ্রো ম্যার্কেটিং ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে একইদিনে একজনকে জড়িমানা করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা হতে ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের নেতৃত্বে পুলিশের সহায়তায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত কারখানায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডলোমাইট ৪০ কেজির ৮০ বস্তা, তাজা বোরাঙ্ ১ কেজির ১১০প্যাকেট, জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ১ কেজির ১২০ প্যাকেট, তেজি জৈব সার ৫০ কেজি করে ৩ বস্তা, এমক্লোব ১ কেজি ওজনের ২৫০প্যাকেট, ইটের গুঁড়া ৫০ কেজি ওজনের ২ বস্তা, ডায়াজিনন ১ কেজি ওজনের ২৪০ প্যাকেট, প্যাকিং মেশিন ১টি, ডিজিটাল স্কেল ১টি জব্দ করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বাদী হয়ে বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের চাবুল ইসলামের পুত্র হাসনাত কবির স্বপন (৪০) ও এনামুল হক বসুনিয়ার পুত্র রানা উসলাম (৩৭)কে আসামি করে সার ব্যবস্থাপনা আইনের ২০০৬ সালের ৮(২)/১৬(৩)/১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের চাবুল হোসেনের ছেলে হাসনাত কবির স্বপনের মালিকানাধীন এই ভেজাল সার কারখানার সার তৈরির মাটি, ইটের গুঁড়া, বালু, রং এবং বিভিন্ন কোম্পানীর নামে ছাপানো সারের প্যাকেট পাওয়া গেছে। এ সময় ভেজাল সারের মালিক অভিযানের আগেই পালিয়ে গেছে। ভেজাল সার কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ইতিমধ্যে এই প্রতারণার মাধ্যমে এলাকার হাজার-হাজার কৃষক মারাত্মকভাবে প্রতারিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুইয়া জানান, নিম্নমানের সারের কারখানার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে কৃষকদের সাথে। উক্ত কারখানার অভিযানের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তপন কুমার রায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এএইচএম শাহিন রেজা, ডিমলা থানার এসআই ইলিয়াছ আলীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।