তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুই ১৪ দলের প্রার্থি

0
737

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে কুষ্টিয়ায়। বিশেষ করে মানুষের নজর জেলার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-২ আসনের দিকে। এ আসনের বর্তমান এমপি জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও হাসানুল হক ইনু। জোটের স্বার্থে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাহবুব-উল আলম হানিফকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাসানুল হক ইনু। স্থানীয় জাসদ নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দলের মনোনয়ন পাবেন হাসানুল হক ইনুই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসন থেকে ইনু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর মাহবুব-উল আলম হানিফ জেতেন কুষ্টিয়া-৩ সদর আসন থেকে। জোটের ভোটে এবারও এখানে হাসানুল হক ইনু মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি মন্ত্রী হিসেবে সরকারের পক্ষে বিশ্বস্ত ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। ১৪ দলের বামপন্থি দলগুলোও ইনুকেই সে আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে কথা বলবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত। জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসীন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা বিকল্প চিন্তাভাবনা করবে তারা বিএনপির দোসর জঙ্গি জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নেবে। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ করে তারা নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবে। ছোটখাটো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন এই নেতা। এ আসনে বিএনপি ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী মাঠে নেমেছেন এবং নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। সম্ভাব্য তালিকায় আছেন প্রায় হাফ ডজন প্রার্থী। এ আসন থেকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। প্রার্থী তালিকায় আরও আছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আবদুল গফুর। এ আসনে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের তৃণমূলে জনপ্রিয়তা রয়েছে। জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন, মিরপুর-ভেড়ামারার উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় সবই আমার সময়ে হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ সব সময়ই তা স্মরণ করে। দলের সুখে-দুঃখে দীর্ঘদিন ধরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। তাদের সব প্রত্যাশা আমাকে ঘিরে। এ আসনে জামায়াতের অবস্থানও বেশ শক্ত। এখানে নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে দলটির। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুরকে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জেলা জামায়াত। ২০ দলীয় জোটের কাছে এ আসনটি দাবি করবে বলেও দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কুষ্টিয়া-২ আসনের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব লিংকনও এ আসনে ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন। লিংকনেরও এ আসনে কিছু ভোট রয়েছে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here