তল্লাশির নামে টাকা হাতিয়ে দিল এ এস আই শামিম

13
909

মোঃ জাহেদ (কক্সবাজার) কক্সবাজারে অসাধু এক পুলিশের এ এস আইর বিরুদ্ধে যাত্রী বাহি বাসে তল্লাশির নামে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুত্রে জানাযায়, শহরের বাহারছড়া বাজারস্থ্য কে-এন্টারপ্রাইজের অংশিদারি ব্যবসায়ী উক্ত এলাকার মৃত, বিশেষ শাস্ত্রীর ছেলে তুষার শাস্ত্রী (৩৫) প্রতিদিনের ন্যায় গত ১২ তারিখ রাত সাড়ে দশটায়, টেকনাফ, হ্নিলা, উখিয়ার বিভিন্ন ফার্মেসিতে সার্জিকেল সরঞ্জামাদি বিক্রয় শেষে টাকা উক্তোলন করে মাইক্রো যোগে আসার পথে লিংক রোডস্থ ওয়েডিং পার্ক এলাকায় দায়িত্ব রত পুলিশের এ এস আই শামিম তার সংঙ্গিয় পোর্স সহকারে যাত্রীবাহি মাইক্রো বাসটি থামায়। এবং গাড়ি সহ এক এক করে সকল যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে। পরিশেষে তুষারের দেহ তল্লাশি করে তার পেন্টের পকেটে তামাক ভর্তী একটি সিগারেট, একটি বিক্রয় রশিদ বই, এবং নগদ ৩১ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তামাক ভর্তী সিগারেটের কারন যানতে চাইলে তিনি নিজে পান করেন বলে উক্ত অফিসারকে জানান। তামাক ভর্তী সিগারেটটি শরীরে বহন করার অপরাধে এ এস আই শামিম তাকে পাশ্চাত্ত্য ওয়েডিং পার্কে নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভয় বিতী দেখিয়ে দুই লক্ষ টাকা দাবি করলেও শত মিনতিপূর্বক পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। তাও অপারগতা প্রকাশ করায় পকেটে থাকা নগদ ৩১ হাজার টাকা নিতে রাজি হয়। টাকা হাতানোর পর ভূক্তবোগিকে মটর সাইকেল যোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে এসে শুরু হয় তুষারের প্রতি নানা ভিতী প্রধান। টাকা নেয়ার কথা যদি দ্বিতীয় কেও তথা উক্ত থানার কোন অফিসার ও যেন না জানে। যদিওবা এখানকার কোন অফিসার তোমার পরিচিত থেকে থাকে এবং এ এস আই শামিম কেন তোমাকে থানায় নিয়ে এসেছে এমন প্রশ্নকারীকে ঘটনা বলা যাবেনা। প্রয়োজনে আগামী কাল আদালতে মামলার হাজিরা বা স্বাক্ষি আছে তা অবগত করার জন্য একানে ডেকে আনা হয়েছে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ এস আই শামিমের নিজস্ব যুক্তি পাট শেষে দুতলা থেকে সিডি বেয়ে চলে আসার সময় ডাক দিয়ে থামিয়ে বলেন তুই যখন এগুলিতে অব্যস্ত তাই সিগারেট টা নিয়ে যা এবং লাগলে আরো একট নিতে পারস আমার ও আছে। তবে ঘটনার বিন্দু মাত্র এদিকও দিক হলে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে জেলে পাটানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে পুনরায় সতর্ক করা হয়। তুষারের অনুযোগের ভিক্তিতে ঘটনার পরদিন সংবাদ কর্মীর পরিচয়ে এ এস আই শামিমের মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেয়ার বিষয়টি বানোয়াট এবং এ বিষয়ে ওসি স্যারের সাথে সাক্ষাতে আলাপ করিয়ে দেয়া হবে বলে সংবাদ কর্মীকে রাত্রে চায়ের দাওয়াত দেয়া হয়। একটু পর সংবাদ কর্মীকে কেন জানানো হয়েছে বলে তুষার কে থানায় ডেকে নানা হুমকি ধমকির পর ১৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয়। বাকি ১৬ হাজার টাকা ওসি স্যার সহ অন্যান্য অফিসারদের দেয়া হয়েছে বলে ঘটনার পরিসমাপ্তির চেষ্টা করে। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়ার মোটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়াই অতিরিক্ত পুলিশ সপার, আফরুজুল হক টুটুল র সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here