সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া এলাকা দিয়ে আজ ০৫.১১.১৭ইং রবিবার ভোর সাড়ে ৪টায় নাটকীয় ভাবে অর্ধলক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাড়ে ৫ মেঃটন ( ৭০বস্তা ) কয়লা পাচাঁর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রতিদিন ভারত থেকে পাচাঁর করা হচ্ছে চুনাপাথর,বল্ডারপাথর,নুড়িপাথর ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।
এলাকাবাসী জানায়,গতকাল ০৪.১১.১৭ইং শনিবার রাত ১১টায় বালিয়াঘাট ক্যাম্পের ৫জন বিজিবি সদস্য ক্যাম্পের বাবুর্চিকে নিয়ে লাটিসুটা নিয়ে টহলে আসে। এরপর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী চিহ্নিত চোরাচালানী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার একান্ত সহযোগী লাকমা গ্রামের আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী,তিতু মিয়া ও লালঘাট গ্রামের চিহ্নিত চোরাচালানী একাধিক চোরাচালান,হুন্ডি মামলাসহ বিজিবির উপর হামলার ঘটনার মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়াকে দিয়ে টহলরত বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আজ ০৫.১১.১৭ইং রবিবার ভোর সাড়ে ৪টায় লাকমাছড়ার পশ্চিমপাড় এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানী তিতু মিয়ার সাড়ে ৫ মেঃটন(৭০বস্তা) কয়লা পাচাঁর করে ট্রলি দিয়ে টেকেরঘাট বিসিআইসি প্রকল্পের পাহাড়ী টিলা কেটে অবৈধভাবে ডিপু নির্মাণকারী অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে মজুদ করেছে। পাচাঁরকৃত অবৈধ চোরাই কয়লার মূল্য অর্ধলক্ষাধিক টাকা। এছাড়াও উপরের উল্লেখিত চিহ্নিত চোরাচালানীরা বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের ১১৯৭ ও ১১৯৮ পিলার এর মাঝে অবস্থিত লাকমাছড়া,টেকেরঘাট ছড়া ও লালঘাট এলাকা দিয়ে ভারতের ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিদিন শতশত ট্রলি বোঝাই করে চুনাপাথর,বল্ডারপাথর ও নুড়িপাথরসহ ইয়াবা,হেরুইন,মদ,গাঁজা পাচাঁর করছে। পাচাঁরকৃত ১ বস্তা কয়লা থেকে ২৫০টাকা,১ ট্রলি (১টন) চুনাপাথর থেকে ৫৫০টাকা,১ ট্রলি বল্ডারপাথর থেকে ৩০০টাকা ও ১ ট্রলি নুড়িপাথর থেকে ২৫০টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর ও বিক্রি করার জন্য সাপ্তাহিক ও মাসিক ১০ থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে চোরাচালানী জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী,কালাম মিয়া ও তিতু মিয়া গং। তারা সবাই নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্সদাবী করে টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পসহ টেকেরঘাট,বাদাঘাট ও তাহিরপুর থানার নাম ভাংগিয়ে এসব চাঁদার টাকা উত্তোলন করে থাকে। সরকারের সরকার লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান করে চোরাচালানীদের মধ্যে জিয়াউর রহমান জিয়া ও কালাম মিয়া ইতিমধ্যে হয়েছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তারা দুইজন চোরাচালান করে চাঁদা তুলে সেই চাঁদার টাকা দিয়ে নির্মাণ করেছে পাকাবাড়ি,কিনেছে একাধিক দামী গাড়ি ও আসবাবপত্র,করেছে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট ও বীমাসহ ক্রয় করেছে লক্ষলক্ষ টাকা মূল্যের জায়গা-জমি।
এব্যাপারে টেকেরঘাট ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া,কলিম উদ্দিন,শাহিন মিয়া,জমির উদ্দিন,পাবেল মিয়াসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,শুল্কষ্টেশন বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চিহ্নিত চোরাচালানী ও চাঁদাবাজ জিয়াউর রহমান জিয়া,কালাম মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী ও তিতু মিয়া ভারত থেকে ওপেন চুনাপাথর,কয়লা,বল্ডারপাথর ও নুড়িপাথরসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ও গরু পাচাঁর করে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে রাতারাতি আঙ্গল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হবেনা।
এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার কেরামত বলেন,কয়লা পাচাঁরের বিষয়টি আমার জানা নেই,এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।
সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।