তুরাগে আমজাদ আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজে রমরমা শিক্ষা বাণিজ্য

2
1395

তুরাগ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা মহানগরির ভিবিন্ন জায়গায় একটি অভিযোগ রয়েছে জে.এস.সি ও পি.এস.সি পরীক্ষার অতিরিক্ত অর্থ আদায় এর কৌশল স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজ ইচ্ছে দুই-এক বিষয়ে ফেল করিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। তেমনী অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে আরো অনেক তথ্য। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর, সুত্রাপুর, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর, আদাবর, গাবতলী, রমনা, ভাটারা, গুলশান, রামপুরা, খিলগাঁও, কামরাঙ্গীর চর ও উত্তরা জোনের বেশ কিছু স্কুল গুলোতে রয়েছে বেশ অনিয়ম, দুরর্নীতি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়। তবে খোজ খবর নিয়ে যানা যায় রাজধানীর তুরাগ থানাধীন আমজাদ আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা আনুমানিক ১ হাজার এর বেশি বলে ধারনা করা যায়। এই প্রতিষ্ঠানের কলেজ কোড-২০৩৫, ইন কোড-১৩। ২০১৭ সালের জে.এস.সি ও পি.এস.সি পরীক্ষার জাতীয় শিক্ষা বোড যে ফি নির্ধারন করা হয় তার চেয়ে প্রায় একশত গুন বেশী আধায় করে থাকে। উল্ল্যেখ জে.এস.সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ফি-২৫০/- ও পি.এস.সি পরীক্ষার ফি মাত্র-৬০। এই সব প্রতিষ্ঠানের নাম মাত্র পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকে। যেখানে ২৫০ টাকা সেখানে ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। পি.এস.সি পরীক্ষার ফি- ১৫০০- ২০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। তবে আরো জানা যায় আমজাদ আইডিয়েল স্কুল এ্যান্ড কলেজে নেই কোন বিষয় ভিক্তিক শিক্ষক। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ হল শিক্ষা নয় বানিজ্য। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন কোন কোন প্রতিষ্ঠান রাতে তার নিজের ব্যবসা হাসিল করার জন্য নয় বরং শিক্ষা শিক্ষার্থীদের শিক্ষনী হিসাবে করা। তুরাগের এই প্রতিষ্ঠানে কোচিং না আরালে অন্য কিছু তাও ভেবে দেখার উপায়, তাই কিছু শিক্ষার্থীর বাবা, মা বলে। আমরা ভালো কোন যায়গায় পড়াতে পারবোনা আমরা মধ্য ভিত্ত শ্রেনীর মানুষ। বর্তমানে এই স্কুলে কোচিং ও বই সরকারী পাঠ্য পুস্তক ছাড়া অন্য গাইড বই সব কিছু বাধ্যতা মুলক। তবে সরেজমিনে আরো জানা যায়, অতিরিক্ত অর্থ আয়ের বিনিময় এই সব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকে। কয়েক জন শিক্ষার্থীর বাবা মার সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী যদি আমজাদ আইডিয়েল স্কুল এর শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর কাছে প্রাইভেট না পড়ে তবে ঐ শিক্ষার্থীর পাশের হারও কমে। শুধু তাই নয় পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করে দেওয়ার নামে প্রতি বছর প্রশ্ন পত্র ফ্লাসের অভিযোগ রয়েছে। আরো জানা যায় ঐ স্কুলের ঘা-ঘেসে যে সব হকার রয়েছে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ যা সম্পুর্ন বে-আইনী। তবে জানা যায় ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাসান তার নিজস্ব বাড়ীতে যেখানে নেই কোন খেলার মাঠ ও অন্য কিছু কী করে তারা স্কুল পরিচালনা করে তা নিয়ে এলাকা বাসীর তৃব্য ক্ষোব এমতাবস্থায় এ ধরনের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক সাস্তি দেওয়া হউক। আমজাদ আইডিয়েল স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার দেখা করার চেষ্টা করলেও যাওয়া যায়নী। বিস্তারিত আসছে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here