দাউদকান্দিতে এসএসসির পরিক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

0
931

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দ্বিগুন কোথাও তিনগুন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ড ফি নিয়ে ফরম পুরনে গত ১০ নভেম্বর’১৫ হাই কোর্ট একটি নির্দেশনা দিলেও উপজেলার স্কুলগুলোর উপর বোর্ডের কোন নির্দেশনা ও তদারকি না থাকায় উপজেলা শিক্ষক সমিতি ও স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি দিয়েই বাধ্য হয়ে ফরম পুরণ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের দরিদ্র পিতা মাতাকে।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি উপজেলার স্কুলগুলোতে চলতি বছর ফরম পুরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৪শ ৪৫, মানবিক ও বানিজ্য বিভাগে ১ হাজার ৩শ ৫৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বিজ্ঞান বিভাগে বিদ্যালয়ের ব্যবহারিক ২০ টাকা হারে ৫ বিষয়ে ১শ টাকা, ব্যবস্থাপনা ফি ২শ ৫০টাকা, মডেল টেস্ট পরীক্ষা দুইটি ৪শ টাকা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা ১শ টাকা, অতিরিক্ত কাশ (নভেম্বর-জানুয়ারি) তিন মাস ১হাজার টাকা, উন্নয়ন ফি ৩শ টাকা, অফিস ও চতুর্থ শ্রেনী ১শ টাকাসহ মোট২ হাজার২শত ৫০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফি ১হাজার৪শত ৪৫টাকা ও স্কুল ধার্যকৃত ফি ২১শ ৫০ টাকাসহ সর্বোমোট ৩৫৯৫ টাকা।
মানবিক ও বানিজ্য বিভাগে বিদ্যালয়ের ব্যবহারিক ৪০ টাকা, ব্যবস্থাপনা ফি ২শ ৫০টাকা, মডেল টেস্ট পরীা দুইটি ৪শ টাকা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা ১শ টাকা, অতিরিক্ত কাশ (নভেম্বর-জানুয়ারি) তিন মাস ৯শ টাকা, উন্নয়ন ফি ৩শ টাকা, অফিস ও চতুর্থ শ্রেনী ১শ টাকাসহ মোট ২হাজার ৫০ টাকা। বোর্ড ফি ১হাজার ৩শ ৫৫ টাকা ও স্কুল ধার্যকৃত ফি ২ হাজার ৫০ টাকাসহ সর্বোমোট ৩ হাজার ৪শ ৫৫টাকা আদায় করা হচ্ছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ সনদ, নম্বর ফর্দ ও ব্যবহারিক ফি এখন আদায় করলেও পরীক্ষার সময় আবার ব্যবহারিক ফি দিতে হয় তাদের সন্তানদের। তা ছাড়াও পাশ করার পর নম্বর ফর্দ ও সনদ পত্রের জন্য আবারও বাড়তি টাকা গুনতে হয় তাদের। এটা রুটিনে পরিনত হয়েছে। এর পরেও বিভিন্ন স্কুল টেস্ট পরীক্ষায় শিার্থীদের অনুত্তীর্ণ করে প্রতি বিষয়ের জন্য আরও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ প্রতিষ্টানেই অতিরিক্ত ফি নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে চাপা মনোমালিন্য হচ্ছে। ধার্যকৃত ফি দিয়ে কোন শিার্থী ফরম পুরন করতে না পারলেও শিক নেতারা বলছেন কোন শিার্থীর কাছ থেকেই ধার্যকৃত টাকা আদায় হয়না। বোর্ড ফি ও স্কুলের ধার্যকৃত ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পুরণ করতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন। দরিদ্র পরিবারের বাবা-মাকে ফি কমানোর জন্য ধর্না দিতে হচ্ছে ঐলাকার কোন প্রভাবশালী বা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাছে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here