দৈনিক জনতা ৩০০কপি ছেপেও সার্কুলেশন জালিয়াতি করে মিডিয়াভুক্তি

0
137

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনতার বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে দৈনিক জনতা আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন আমলের সরকারের সকল অপকর্মের, অন্যায়ের,দুর্নীতির সমর্থনপুষ্ট হয়ে সকল প্রকার অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেও সাংবাদিকদের বেতন ও আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

 গত সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে সাবেক তথ্যমন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় কোটি কোটি টাকার ক্রোড়পত্র গ্রহন করলেও ওয়েজবোর্ড না মেনে কর্মরত সাংবাদিকদেরকে নির্ধারিত বেতন নিতে বাধ্য করে এবং জোর করে একটি রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করে নেয়। একই সাথে ওয়েজবোর্ড অনুসারে আরেকটি বেতন রেজিষ্টারে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য  করে। এ অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারী সাংবাদিককে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় কাউকে কাউকে প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দৈনিক জনতায় কর্মরত সাব এডিটর মাকসুদা খানম গোলাপ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তথ্য উপদেষ্টা বরাবর এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন  গত ২৩/১১/২০১৩ইং তারিখ থেকে দৈনিক জনতায় সহ-সম্পাদক হিসেবে অদ্যাবধি  দশ বছরের বেশি কর্মরত রয়েছেন। উক্ত পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের নামে চালাচ্ছে নানা প্রতারণা এবং তিনিও এই প্রতারণার চরমতম শিকার। তিনি উল্লেখ করেন আমি ওয়েজবোর্ডের আওতাধীন হওয়া সত্ত্বেও আমাকে কোনো নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী কাউকেই বেতন দেয়া হয় না। যে বেতন পাই,তাও থাকে বকেয়া। বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসনে দুইটি খাতা ব্যবহৃত থাকে। একটিতে যা বেতন পায় তার উল্লেখ থাকে। অন্যটিতে ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন দেয়া হয়েছে দেখানো হয়। যার দু’টিতেই দৈনিক জনতায় কর্মরত সাংবাদিকদের স্বাক্ষর দিতে হয়। এমন সব অনিয়ম-দুর্নীর্তির প্রতিবাদ করায় আমি বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের নানা নির্যাতন-হেনস্থার শিকার হয়েছি। তাছাড়া, কাজের উছিলায় নির্বাহী সম্পাদক আশীষকুমার সেনের রুমে গিয়ে গল্প না করা ছিল আমার বড় অপরাধ। এর শাস্তি স্বরূপ প্রায়ই সম্পাদকীয় পাতা সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার পরে লেখা বাতিল করে আবার নতুন করে পাতা বানাতে বলে হয়রানী করা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিচার চাওয়ার কোনো সাহস ছিল না। কারণ আওয়ামীলীগের আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় সাবেক তথ্যমন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ডিএফপির দুর্নীতিবাজ সাবেক ডিজির সহায়তায় সার্কুলেশন জালিয়াতি করে প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোটি কোটি টাকার ক্রোড়পত্র হাতিয়ে নিয়েছে। সকল সুবিচারের ক্ষেত্রগুলোও ছিল কুক্ষিগত। সেই সুযোগেই দৈনিক জনতার প্রশাসনের একচ্ছত্র অধিপতি জিএম বিশু কুমার দাস এবং নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেনের দৌরাত্ন্য হয়ে ওঠেছে লাগামহীন। মাত্র ২০০ কপি পত্রিকা ছেপে, মিডিয়াভুক্তির মিথ্যা অনুমোদন নিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্রোড়পত্র হাতিয়ে নেয়।

যা তদন্ত করলেই দৈনিক জনতার থালের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। আবার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চতুরতার সাথে অতি গোপনে দৈনিক জনতা পত্রিকাটি প্রকাশ করে ফকিরাপুলের প্রেস থেকে। অথচ প্রিন্টার্স লাইনে দেখানো হয়-‘রোমাক্স লিমিটেড তেজগাঁও শিল্প এলাকা’। ‘রোমাক্স লিমিটেড তেজগাঁও শিল্প এলাকা’ থেকে কখনো পত্রিকাটি প্রকাশ করা হয় না। ১৯৭৪ সালের ছাপাখানা আইন অনুসারে এটি মারাত্বক অপরাধ। যা পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল হওয়ার মত অপরাধ বটে। তাছাড়া ওয়েজবোর্ড নীতিমালা না মেনে, কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে তাদের মর্জি মাফিক দেয়া হয় সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ঘোষণা।

এমনকি ইচ্ছা হলে বেতন দেয়া, না হলে না দেয়া এমনটাই করে থাকে আশিষ আর বিশু। কিন্তু চাকরি হারানোর ভয়ে এর প্রতিবাদে মুখ খোলার সাহস কারো নেই। দৈনিক জনতায় কর্মরতদের প্রায় সকলেই এই বৈষম্যের শিকার। প্রায় সবাই এই নুন্যতম বেতনের চাকুরি হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। তবে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ গোপনে তদন্ত করলে আশিষ ও বিশুর জালিয়াতির সকল তথ্য উন্মোচিত হবে। এছাড়া এর আগেও জনতার বিশু-আশীষের নানা অপকর্ম নিয়ে অপরাধ বিচিত্রা ২১ নভেম্বর, ২০২২ইং তারিখে একটি বিশেষ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ।

শুরু থেকে সাবেক প্রকাশক মরহুম ছৈয়দ আনোয়ার এর  নির্দেশনায় পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রতিদিন একটি মন্তব্য কলামের পাশাপাশি সম্পাদকীয় পাতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রকাশক মরহুম ছৈয়দ আনোয়ার গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের  (সৈয়দ আতিকুল হাসান) অনুমতি সাপেক্ষে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কলাম লেখা স্থগিত করা হয়। পরের দিন আমি অফিসে আসার সাথে সাথে কাউকে কিছু অবগত না করে জিএম বিশু কুমার দাস এককভাবে স্বেচ্ছাচারিতার সাথে আমাকে আমার কার্যস্থান (৩য় তলা) হতে নিউজ সেকশনে (৫ম তলা) পাঠিয়ে দেন এবং পরের মাস থেকে আমার বেতন অর্ধেক করে দেন।

জি এম বিশু কুমার দাস বলেন, ‘মহিলাদের এত টাকা বেতন দেয়া যাবে না।’যা একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর এবং বৈষম্যমূলক। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার সাথে যাচ্ছে তাই আচরণ করেন এবং উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি তো জনতার স্টাফ না, চেয়ারম্যানের কাজ করতেন কন্ট্রাক্ট ভিত্তিক কাজ, তার কাজ এখন নাই ইত্যাদি। তখন আমি তাকে বলি, দাদা আমার কিন্তু ঝধষধৎু জবভরীধঃরড়হ খবঃঃবৎ আছে। উত্তরে তিনি বলেন, না,না। পরে আমি আমার কাজে চলে যাই। আমি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সম্পাদকের অনুমতিক্রমে সম্পাদকীয় পাতা সম্পাদনার পাশাপাশি সহ-সম্পাদক হিসেবে যাথারীতি কাজ করতে থাকি। চার মাস কাজ করার পর ৩০ জুন ২০২২ তারিখে জিএম বিশু কুমার দাস সম্পাদকসহ আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে আপনি নিউজ সেকশনে কাজ করবেন না। আমি কাজ করার ইচ্ছা জানিয়ে সম্পাদক বরাবরে আবেদন জানালে তার ফল স্বরূপ ৩১ আগস্ট ২০২২ সালের রাত ৯.০০ টায় নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন মৌখিকভাবে আমাকে এবং আব্দুর রাজ্জাক নামের আরেক জন সহ-সম্পাদককে চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দেন। আমরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নেতাদেও (ডিইউজে) শরণাপন্ন হলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে আমাদের চাকরি পূনর্বহাল হয়।

কিন্তু নতুন করে শুরু হয় জিএম বিশু কুমার দাস আর নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেনের কূটচাল। আমার চাকরি বহাল হলেও নির্বাহী সম্পাদক আমার (সম্পাদকীয় বিভাগের) কম্পিউটার নিয়ে নেন এবং আমাকে হুকুম করেন, কম্পিউটার বিভাগে গিয়ে ওদের যে কোনো একটি  কম্পিউটারে কাজ করেন। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদ বলেন, ‘তিন তলায় গিয়ে বিশু বাবুর কাছে কম্পিউটার চান। এখানে কাজ করা যাবে না। আপনি কম্পিউটার রুমে আপনার কাজ করতে পারবেন না।’ আমি জিএম এবং নির্বাহী সম্পাদককে তা জানালে তারা বলেন, ‘আপনার কম্পিউটার মালিক নিয়ে নিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই। আপনি মালিকের কাছে কম্পিউটার চান।’ এমন কষ্টকর পরিবেশে বসেই আমাকে কাজ করতে হয়েছে।

কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদ প্রায়ই বাজে মন্তব্য করতেন। পুনরায় আমি তা নির্বাহী সম্পাদককে জানালে তিনি বলেন, ঠিক আছে আপনি কাজ করতে থাকেন। আমি বিষয়টা দেখছি। এ পর্যন্তই…. তিনি আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। বরং এ দুই কর্মকর্তা আমাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়ার হীনমানসে এক পর্যায়ে কম্পিউটার অপারেটর আসমাকে দিয়ে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যান এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার জন্য উস্কে দেন বলে প্রতিয়মান হয়।

উল্লেখ্য, জিএম বিশু কুমার দাস এবং নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেনের অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদ সাংবাদিকতার নীতিমালার বহির্ভূূতভাবে দৈনিক জনতায় একই সাথে ডাবল বেতনে দুইটি চাকরি করছেন। ঔদ্ধত্যের সীমা ছাড়িয়ে কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদ আমি আমার বেতন কীভাবে নিচ্ছি-এটা নিয়েও তদারকি শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অশ্রাভ্য, অশ্লীল-অশালীন বকাবকি করেন যা লিখে উল্লেখ করার মতো নয়।

যা অফিসের সবাই জানে, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে নাই চাকুরি হারানোর ভয়ে। উপস্থিত সবাইকে বললাম, এত জঘন্য-অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে আপনারা কিছু বলবেন না! আড়ালে গিয়ে সবাই বলতো-ওরে বাপরে তাকে কিছু বলার উপায় নেই। শেষে নিজের মানসম্মান নিয়েই টানাটানি। সে তো বিশু-আশীষের খাস লোক।

অবশ্য আসমা নিজেই প্রকাশ্যে দম্ভভরে বলে বেড়ায়, আমি বিশু-আশীষের খাস লোক। মোট কথা, তাকে দেখে সবাই ভয় পায়। এসব বিষয়ে নির্বাহী সম্পাদকের কাছে মৌখিকভাবে বিচার চাইলে তিনি বলেন, আমি  ব্যাপারটা দেখবো, আপনি যান কাজ করেন। পরে তার কোনো বিচার পাইনি। আমি মানসিক টর্চারের শিকার হয়েও দেড় বছর যাবৎ বিভাগীয় কম্পিউটার ছাড়া একেক দিন একেক কম্পিউটারে সম্পাদকীয় পাতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম।

সর্বশেষ গত ১৮/০১/২০২৪ইং তারিখে বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে কম্পিউটারে আমি আমার পেশাগত কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে কম্পিউটার অপারেটর  আসমা আহমেদ আমার পেছন থেকে অশ্লিল-অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে চেয়ার উঁচিয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। আমি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) আবু জাফর,সম্পাদনা সহকারী দৌলতুন্নেছা রেখা এবং কম্পিউটার অপারেটর নিলুফা ইয়াসমিন তাকে এই অপকর্ম থেকে বিরত করে। যা ছিল আমার প্রাণ নাশের হুমকি স্বরূপ।এ বিষয়ে দৈনিক জনতার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এর সত্যতা যাচাই করা বিশেষভাবে বিবেচ্য বলে মনে করি।উদ্ভ’ত পরিস্থিতিতে আমি আইনের শরণাপন্ন (জিডি করতে চাইলে) হতে চাইলে নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন, সাবেক ইউনিটচীফ আতাউর রহমান জুয়েল, স্টেয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর খান বাবু, সার্কুলেশন ম্যানেজার নূরুজ্জামান  এরা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন,

এ সব ব্যাপারে অফিসের বাইরে গেলে আপনি বেইজ্জতি হতে পারেন এবং পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। অপরদিকে তারা আমাকে আপোষ মীমাংসার আশ^াষ দিলে আমি জিডি করা থেকে বিরত থাকি।এর আগেও বিভিন্ন সময় আসমা আহমেদ আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেছে, যা আমি নির্বাহী সম্পাদককে অবগত করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি ২১/০১/২০২৪ইং এবং ২৯/০২/২০২৪ইং তারিখে দৈনিক জনতার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক এবং নির্বাহী সম্পাদককে লিখিতভাবে জানিয়েছি (কপি সংযুক্ত)। তার কোনো রকম বিচার না করে বরং উপর্যুপরি ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে নির্বাহী সম্পাদক আমাকে বলেন, আপনি কম্পিউটার রুমে যাবেন না। অন্য কম্পিউটারে কাজ করেন। এসব কথা বলে তিনি আমার সাথে কর্কশভাবে দুর্ব্যবহার করেন।

মূলত এটা আমাকে হয়রানি করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের আরেকটি হীন কৌশল মাত্র।  অফিসে এক্সট্রা কোনো কম্পিউটার নেই।যার যার কম্পিউটারে সে সে কাজ করে। প্রকৃত সত্য হলো, কম্পিউটার অপারেটর  আসমা আহমেদকে দিয়ে নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন অফিসে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছেন। যাতে করে আমি নানাভাবে অপমান-অপদস্ত হয়ে অফিসে না যাই।কৌশলে সে পরিবেশ সৃষ্টি করা। বাস্তবে হয়েছেও তাই। একজন নারী সাংবাদিক হিসেবে এটা মেনে নেয়া কী আমার পক্ষে সম্ভব?

এ পর্যায়ে এহেন আপত্তিকর পরিস্থিতিতে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি এবং অসুস্থ হয়ে যাই। ০২/০২/২০২৪ইং থেকে ০৮/০২/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম, যা ফোনে নির্বাহী সম্পাদককে জানাই। আমি একটু সুস্থ হয়ে নির্বাহী সম্পাদককে জানালাম,  অফিসে বিরাজমান ন্যক্কারজনক পরিবেশে আমি তো অফিস করতে পারবো না। চাকরিতো করতে  পারবো না। তিনি বলেন, অফিসে আসেন, লিখিত দেন। আমি বলেছি, আগে আপনি অফিসের অরাজক পরিস্থিতি ঠিক করেন।

কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদের ঔদ্ধত্য থামান। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি। এভাবে আমি অফিসে আসতে পারি না। আপনি আমার নিরাপত্তা দিন। জবাবে নির্বাহী সম্পাদক উগ্রমূর্তি ধারণ করে আমাকে বলেন, আজেবাজে কথা বলবেন না বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না, বলে মোবাইল সংযোগটি কেটে দেন। তার এমন আচরণ এবং জবাব শুনে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, অফিসে এ অরাজক পরিস্থিতির মূল নায়ক তিনি এবং জিএম।

কাজেই এ দু’জনের উস্কানিতে অতীতের ন্যায়  যে কোনো সময় আমি কম্পিউটার অপারেটর আসমা আহমেদের  নগ্ন হামলার শিকার হতে পারি। এতে আমার মানসম্মান ও প্রাণনাশের ঝুঁকি আছে বলে আমি মনে করি। এ আশঙ্কায় আমি অফিসে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছি। উল্লেখ্য,গত ২৩/০৪/২০২৪ইং তারিখে আওয়ামীলীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে লিখিত জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। ডিএফপির সাবেক ডিজি বলেন, আমরা সবই জানি। কিন্তু ভয়ে কিছু করতে পারি না।

উপরে বর্ণিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায্যবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সকল সাংবাদিকের সমুদয় পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা আবশ্যক

এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে থাকবে বিস্তারিত প্রতিবেদন।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here