নওগাঁ থেকে আবুবকর সিদ্দিক
নওগাঁয় সোনার পুতুল, কয়েন ও মূর্তি বিক্রয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে আর্ন্তজাতিক প্রতারক চক্রের ১সদস্য দিন মজুর থেকে এখন কোটিপতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঐ প্রতারক হলেন জেলার বদলগাছী উপজেলার শুকনা গোপালপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে খাজামুদ্দিন ওরফে বোনা। সরেজমিনে ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, খাজামুদ্দিন ওরফে বোনা বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সোনার পুতুল, কয়েন ও মূর্তি বিক্রয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নানা অভিনব কায়দায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করে কয়েক বছরের মধ্যে ঐ প্রতারক কোটিপতি হয়েছে। জানা যায়, ঐ প্রতারক মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ঢাকা সোনার গাঁ হোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় জায়গায় ভুক্তভোগীদের ডেকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের মনোরঞ্জন করে ঐসব পুতুল, কয়েন ও মূর্তি দেখিয়ে বা নানা কায়দায় প্রলোভন দিয়ে বহু টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতো মধ্যে ঐ প্রতারক বোনা বহু মানুষকে তার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব গ্রাস করে এলাকায় দাপটের সাথে চলা ফেরা করছে। ঐ প্রতারকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগিরা কোনো কোথাও অভিযোগ করেও তাকে থামাতে পারছে না বরং উল্টোা দিকে অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন তিনি। এছাড়া ঐ প্রতারক নিজেকে রক্ষা করতে কিছু ক্যাডার বাহিনী রেখেছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয়রা জনায়, বোনা দিনের বেলায় বিশেষ কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হয় না তবে বেশির ভাগ সময়ই সে ঢাকা অথবা এলাকার বাহিরে থাকে। অনেক সময় ঐ প্রতারক ভুক্তভোগীদের চাপে পরলে কৌশুলে ডিড করে দিয়ে অত্মরক্ষা করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা চাইলে ঐ প্রতারক মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের চেহারা পাল্টে নেয় বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। জেলার বদলগাছী উপজেলার শর্মাপুর গ্রামের ফেরদৌস আলীর ছেলে মাসুদ রানা জানান, ঐ প্রতারকের নিকট তার মোটা অংকের টাকা পাওনা থাকায় সে টাকার দাবি করলে ঐ প্রতারক তাকে উল্টো দিকে বিভিন্ন হয়রানীর পায়তারা করছে এ কারনে সে নওগাঁ পুলিশ সুপারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে। ঐ প্রতারকের হাত থেকে অনেক মহিলারাও নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য ঐ প্রতারক খাজামুদ্দিন ওরফে বোনা এক সময় তার এলাকার বিলাশ বাড়ি গ্রামের সুলতান মাহমুদের বাড়ীতে দিন মজুরের কাজ করতেন। বর্তমানে বোনা কোটিপতি হওয়াই এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছেন। উক্ত খাজামুদ্দিন ওরফে বোনার নিকট এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানার জন্য ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন খাজামুদ্দিন ওরফে বোনা নামের কোন ব্যক্তিকে আমি চিনিনা তবে যদি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেহ অভিযোগ করেন তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।