নোয়াখালীতে এক মাসে পরকিয়ার টানে ঘর চেড়েছে ৩ গৃহবধু ॥ পালিয়েছে ২ শিক্ষার্থী

0
1238

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে পরকিয়ার টানে ঘটে ঘর চেড়েছে ৩ গৃহবধু ও প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে ২ শিক্ষার্থী। এর মধ্য সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দাগনভুঞা থেকে ২ গৃহবধুকে উদ্ধার করলেও অজ্ঞাত স্থানে রয়েছে আরেক গৃহবধ্ ুও ২ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে।

Advertisement

সুত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর উপজেলা জামালপুর গ্রাম থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রেমিক দুলালের হাত ধরে দুটি সন্তান রেখে পালিয়েছে গৃহবধু রেহান আক্তার রুমী (৩৫)। দীর্ঘ ১৯দিন পালিয়ে ঘর সংসার করার পর রুমীকে ২৭ নভেম্বর রাতে দাগুনভুঞার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। রুমী ১১ বছরের সংসার ফেলে সন্তানকে স্কুলে দিয়ে ১১ নভেম্বর পালিয়ে যায়। রুমির প্রেমিক দুলাল পাইপ ফিল্টার মেস্ত্রী ও সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগুনি গ্রামের জাকেরের পুত্র। আর রুমী কাদরা ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হাই স্কুল শিক্ষক মিজানের স্ত্রী ও নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে।
অপরদিকে গত ৩ নভেম্বর উপজেলার ৭নং ইউনিয়নের দঃ রাজারামপুর গ্রাম থেকে পালিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তার(২৫)। শারমিন দঃ রাজারামপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের কন্যা ও বেগমগঞ্জের লতিফপুর গ্রামের প্রবাসী খোরশেদ আলমের স্ত্রী। গত ৩ নভেম্বর শারমিন পিতার বাড়ি থেকে মার্কেটিং করা কথা বলে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায় । গত ২৪ নভেম্বর ২১দিন পর দাগনভুঞার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ থানা পুলিশ।
এদিকে সেনবাগ পৌরসভার দঃ অর্জুনতলা পিতার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়া পথে পালিয়েছে গৃহবধু বিবি কুলসুম (২৪)। কুলসুম দ.অর্জুনতলা নুরনবীর মেয়ে ও হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের মহিন উদ্দিনের স্ত্রী। ৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে পিতার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক রনির হাত ধরে পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রির্পোট লেখার আগ পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়ানি। মেয়েটি ঢাকা থাকার সুবাদে রনি নামের এক টেইলার্সের দোকানে জামা সেলাই করতো। সেই থেকে টেইলার্স রনি মোবাইলে তার সর্ম্পক গড়ে তোলে। প্রেমিক রনির বাড়ি চাটখিল বদল কোট গ্রামের মধ্যপাড়া।
এ ছাড়া নবীপুর ইউনিয়নের কলেজের শিক্ষার্থী সেলিনা ও নজরুল প্রেমের টানে পালিয়েছে গত ২৪ নভেম্বর। জে.এস.সি পরীক্ষা চলাকালিন পরীক্ষার হল থেকে অজ্ঞাত প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায় ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এদিকে সেনবাগ রাস্তার মাথায় এলাকার মহিদিপুর গ্রামের হোসেন আলী সেরাং বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা এসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম রিংকুর নারী কেলেংকারীতে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। রিংকু নানা প্রলোভনে এলাকার অনেক গরীব গৃহবধুর সর্বনাশ করে আসছে। গত ২৮ নভেমন্ব সন্ধায় একই গ্রামের খাজু মিয়ার বাড়ির এক গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে রিংকু ছাড়া পাওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গৃহবধু ও শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় তাদের আত্মীয় স্বাজন সেনবাগ থানায় সাধারণ ডায়রী করার পর অভিযানে নামে পুলিশ। আর এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও চিন্তিত সচেতন মহল।
সেনবাগ থানার ওসি হারুন উর রশিদ জানান, নিখোঁজ গৃহবধুদের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এক গৃহবধু ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here