যশোর ব্যুরো॥ বিচারের বানী নিরব নির্ভিত্তে কাঁদে মোছা: জামেলা বেগম (২০) কি তার উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক গুজব ছড়ানো শুশুরপক্ষ ও গ্রাম সালিশকারী মাতব্বর গংদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাদা ষ্ট্যাম্পে সই করে নেয়। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনের সহায়তা চেয়ে জামেলা বেগম পুলিশ প্রশাসনসহ মানবাধিকার সংগঠনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
গত ২৮/০৯/২০১৭ ইং তারিখে বেলা ১২ ঘটিকার সময় মুনসেফপুর গ্রামে জিএম মিজানুর রহমানের একমাত্র কন্যা হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি বিভাগীয় কার্যালয় রূপদিয়া বাজার যশোর এসে আইনের সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেন যার স্মারক নং- ১৬০৬, ২০১১, ২৮১। আবেদনটি সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম গ্রহন করে। আবেদনকারী জামেলার অভিযোগে জানা যায় মুসলিম পরিবারিক শরিয়তী মোতাবেক ২০১১ ইং সালের ১০ নভেম্বর ৫০ হাজার ১ টাকা দেনমহর ধায্য করিয়া অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের মোঃ আছোর আলী মোল্যার পুত্র মোঃ সোহাগ মোল্যার সহিত বিবাহের সময় পিতার দেওয়া চার আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি নানীর দেওয়া একটি চায়না বাইসাইকেল । মাস পাচেক পর জামেলার বড়ো ভাই একটি গাভী গরু দেয় ও দুইটি ছাগলসহ হাড়ি পাতিল, সোকেচ,খাট, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র দেয় যার আনুমানিক মূল্য ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার বেশী হবে। আবেদনকারীর শশুর ও স্বামী সোহাগের নামে ভিটাবাড়ীর ৮ শতক জমি লিখে দেয়। এই সুবাধে আবেদনকারী শশুর, ভাসুর ও নোনোদ মিলে একটি মিথ্যা বানোয়াট গুজব লটায়। এই গুজবকে কেন্দ্র করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে আবেদনকারীর ভাসুর নোনোদসহ গ্রামের ৫/৬ জন মাতব্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমার স্বামীকে আটক রেখে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে লোকমান নজরুল আবুল, মহাবুর ও হাফিজুরসহ আট জন মিলে আবেদনকারী বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করে। আবেদনকারী জামেলাকে জোরপূর্বক একটি সাদা ষ্ট্যাম্পে সই করে নেয়। আবেদনকারী নিরূপায় হইয়ে মান সম্মানের ভয়ে সই করে দিয়ে পর দিন সকাল ৭ ঘটিকার সময় এক কাপড়ে তার একমাত্র কন্যাকে নিয়ে পিতার বাড়ীতে চলে আসে। পিতার দেওয়া আসবাবপত্র গরু ছাগল বিক্রি করে নিচ্ছে আবেদনাকরীর ভাসুর ও নোনোদ। এদের বিরুদ্ধে আইনগত সহায়তা চেয়ে অভিযোগ করেন।