আরিফুর রহমান মানিক,ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি,
ছাতকে সার-বীজসহ আটক একব্যক্তিকে গভীর রাতে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এঘটনা নিয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সিংচাপইড় ইউপির কালিপুর পয়েন্টে সরকারি সার ও বীজসহ যুবায়ের খান
নামে একব্যক্তিকে উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আসিফ হোসাইন এলাকাবাসিকে নিয়ে ২১বস্তা সার, ১০বস্তা বীজ ও নগদ ৭৪হাজার টাকাসহ তাকে আটক করেন। পরে তাকে উত্যম-মধ্যম দিয়ে মুছলেকা আদায় করে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনা নিয়ে বুধবার দিনভর উপজেলা জুড়ে ছিল ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগ, এলাকাবাসিও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে পরস্পর বিরোধি বক্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। সার ও বীজ কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম বদরুল হক ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আব্দুল হামিদ রাত থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। বুধবার সকালে কৃষি অফিসার ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের মো. সাহেলের বাড়িতে যান। এখান থেকে এসে উপ-সহকারি কৃষি অফিসারসহ কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পৃথক গোপন বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি পূনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ১৮হাজার ৭শ’ ৬৬ চাষি পরিবারকে নগদ ১হাজার টাকা, বিনামূল্যে সার ও বোর ধান বীজ বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিও দূর্নীতির অভিযোগ। এতে প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে ভূঁয়া কৃষকদের নামে এসব বরাদ্ধ লুঠপাট করা হচ্ছে। এসব দূর্নীতির ধারাবাহিকতায় ভাতগাঁও ইউপির মন্ডলপুর গ্রামের কদরিছ খান ও পুত্র যুবায়ের খানকে সিংচাপইড়, ভাতগাঁও, উত্তর খুরমাও চরমহল্লা ইউপির সার ও বীজের ডিলারশীপ দেয়া হয়েছে। অথচ তাদের পিতা-পুত্র জাউয়াবাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিনামূল্যের সার-বীজ অকৃষকদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে কিনে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম শান্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে এখনও কৃষকদের মধ্যে সার-বীজ বিতরণ হয়নি। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আসিফ হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপে আটক মালামাল ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয় নিয়ে তিনি কৃষকদের সাথে বৈঠক করেছেন বলে জানান। কৃষি অফিসার কেএম বদরুল হক এরকম কোন ঘটনাই তিনি শুনেননি বলে জানান। তবে পিতা-পুত্রের ডিলারশীপের কথা তিনি স্বীকার করেন।