প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ এর দৃষ্টি আকর্ষন মানসম্মত শিক্ষা না পেলে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

1
1368

খুশি কামালঃ
ব্র্যাক একটি এন.জি.ও অর্থাৎ নন গর্ভারমেন্ট অরগাইজেসন এই সুযোগে ব্র্যাকের কিছু অসাধু কর্ম-কর্তারা লুপেপুটে খেয়েছে এন,জি,ওর টাকা। আবার এখন শুরু করেছে গ্রামের গরীব সহজ সরল মানুষকে লুটে খাওয়া এন.জি,ও পথে বসিয়ে এখন সহজ সরল মানুষদের পথে বসানোর চেষ্টা। কেননা ব্র্যাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে আসছে, যেখানে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড সেখানে যদি সেই ছেলে মেয়েরা অবিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা যদি শিক্ষা না পায় তাহলে মেরুদন্ডহীন প্রাণীর মতো সোজা হয়ে দাড়াতে পাড়বেনা। ঝরে পরা শিশুদের যারা আলোকিত করতে চায় সেখানে ঐ সব কচি-কচি ছেলে মেয়েদের ঠকিয়ে ব্র্যাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বৃন্দ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। ঐ সব ছাত্র-ছাত্রী না পারে ইংরেজি না পারে অংক না পারে ভালো বাংলা আজ এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে ব্র্যাকের অধিনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধিন ৫ নং শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট গ্রামের ব্র্যাক বিদ্যালয়টি, ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আসল নাম জোছনা, ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে নাম রেহেনা, এমনটা জানিয়েছে ব্র্যাকের অপর শিক্ষিকাগন, জোছনা রেহেনা নামের ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ১৮ বছর ধরে চাকরি করে আসছে এই ১৮ বছর ধরে ঠকিয়েছে মানুষকে, কেননা প্রাথমিক শিক্ষাই একদিন উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে যাবে, উচ্চ বিদ্যালয় একদিন উচ্চমাধ্যমিকে অর্থাৎ কলেজে নিয়ে যাবে, কলেজ শেষ করে একদিন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে সকলে চাকরি জীবনে চলে যাবে, কিন্তু সেই শিক্ষার শুরু যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা আর সেখানে যদি মানসম্মত শিক্ষার অভাব হয় সেখানে আগামী দিন গুলোতে এইসব শিশুরা পাবলিক পরিক্ষায় পাশ করবে ঠিকই কিন্তু যখন তারা সরকারী কিংবা বেসরকারী চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে যাবে তখন অকৃতকার্য হবে, না হতে পাড়বে ভালো পুলিশ অফিসার, না হতে পাড়বে সাংবাদিক, না পাড়বে ব্যাংকার হতে, না পাড়বে সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে, পাড়বে শুধু ব্র্যাকের শিক্ষক হতে, অর্থাৎ ঐ ছাত্রটি ব্র্যাকের যে অদক্ষ শিক্ষক থেকে শিক্ষা পেয়েছে, সে আবার ব্র্যাক বিদ্যালয়ে চাকরি করে ঐ ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিবে অর্থাৎ ভূলে ভূলে থেকে যাবে ব্র্যাকের ছাত্র-ছাত্রীরা, কেননা ব্র্যাকের ছাত্র-ছাত্রী যারা প্রাথমিক শিক্ষায় ব্র্যাক গ্রহণ করেছে, তারা অনেকেই ঝ.ঝ.ঈ কিংবা ঐ.ঝ.ঈ পাশ করে ও ভাগ অংক, ইংরেজি রিডিং পারেনা, তাহলে প্রশ্ন হলো কিভাবে তারা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছে। ব্র্যাকের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের বুঝানো হয় আমাদের ব্র্যাকের লেখাপড়া ভালো, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তারা সরকারী অনেক টাকা বেতন পায় তাই তারা ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো পড়ায় না, এভাবে ভূলবাল বুঝিয়ে ব্র্যাকের শিক্ষকরা গ্রামের অশিক্ষিত বাবা মাকে বুঝানো হয় আমরা ভালো পড়াই, আসল কথা এটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেশির ভাগ উচ্চতর শিক্ষিত, তারা ক্লাস পঞ্চম শ্রেণী কিংবা চতুর্থ শ্রেণীর অংক ক্লাস নিচ্ছে একজন বি.এস.সি শিক্ষক কেননা ঐ বি.এস.সি শিক্ষকরা জানিয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর অংক করতে আমরা অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছি, বাড়ীতে রাতে ঘরে বসে চর্চা করতে হয়, আর সেখানে কি ভাবে ব্র্যাকের অষ্টম শ্রেণী নবম শ্রেণী মেট্রিক ফেল পড়–য়ারা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছে, আসল ব্যাপার এটা ব্র্যাকে কোণ ভালো শিক্ষিত বাবা-মারা তাদের সন্তানদের পড়ায় না, এটার শত শত উদাহারন, বাংলাদেশের প্রধান বিচার পতি হইতে পুলিশের প্রধান সেনাবাহিনীর প্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান ব্যাংকার, লেখক-কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক, নাট্যকার, ঐতিহাসিক, গীতিকার, সুরকার এমনকি বাংলাদেশের যত লোক বি.সি.এস ক্যাডার সকলের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনকি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ উনিও প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভরনর জনাব আতিয়ুর রহমান ও নিত্যান্ত গ্রামের ছেলে কৃষকের ঘরে জন্ম তিনিও প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, সবশেষ বাংলাদেশের এক মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, সেই বাংলার খোকা সে ও প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এছাড়া ও আরো অনেকে, বাংলার বাঘ একে ফজলুল হক কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সুফিয়া কামাল, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন এমন কি নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত যে নারী নিজের বুদ্ধি দিয়ে ঘরে বসে শিক্ষা অর্জন করেছেন পরে নারী শিক্ষার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করে নিজের টাকা খরচ করে, কোনো ঘ.এ.ঙ কে লুটে খাওয়ার জন্য নয়। তাই প্রাথমিক শিক্ষা যদি গ্রহন করা যায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাহলে ভবিষ্যৎ আলোকিত করা যাবে নিজকে সাবলম্বি করা যাবে। চৌদ্দগ্রামের ৫ নং শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজার কাদৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলে ছিলেন আমি আমার ছেলেকে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়েছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেননা সরকার এখন প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এম.এ পাশ শিক্ষক নিয়োগ দেয়, আর ব্র্যাক কিন্ডার গার্টেনের নবম, অষ্টম, মেট্রিক ফেল এরকম শিক্ষকরা পড়ান, আমার ছেলের জন্য অনেকেই আসছে ছেলেটিকে কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি করানোর জন্য আমি দেইনি, ম্যানেজার সাহেব শিক্ষিত বিদায় তার সন্তান কে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছে মান সম্মত শিক্ষা গ্রহনের জন্য। ঢাকা শহরে সরকারী বিদ্যালয় গুলোতে প্রথম শ্রেণীতে লটারী হয় দ্বিতীয় শ্রেণী হইতে লিখিত পরীক্ষা হয়, লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য না হলে আর ভর্তির সুযোগ পায়না যদি বাংলাদেশের পুলিশ প্রধানের সন্তান ও হয়ে থাকে তবু ও না এক সময় ঘুষের বিনিময়ে ভর্তির সুযোগ পেত, এ গুলো মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়াতে এখন অনিয়ম আর হচ্ছে না, দুঃখের বিষয় হলো গ্রামে প্রতি মাইলে দুটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে ও অল্প লেখা পড়া করা অভিভাবক কিংবা কেউ মোটেই লেখা পড়া নয়, এরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে না পড়িয়ে ব্র্যাকে কিন্ডার গার্টেনে দিচ্ছে, এতে যে তার সন্তান সঠিক শিক্ষা গ্রহন করতে পারছেনা এটা সত্য কিনা আপনারা অভিভাবকরা যাচাই করে দেখুন গত ১৬ সালের সমাপনী পরীক্ষায় ফকিরহাট আমির হোসেনের বাড়ীর উঠানে যে ব্র্যাক বিদ্যালয়টি অবস্থিত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ভূয়া সার্টিফিকেট নাম ধারি রেহেনা, আসল নাম জোছনা, তার সমাপনীর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল উনকোট যেখানে কোনো মেজিষ্ট্রেট যায়নী আর সেই সুযোগে ছাত্র-ছাত্রীরা একেবারে বই খুলে দেখে দেখে ঠান্ডা মাথায় লিখেছে আর তাই ঐ বিদ্যালয় থেকে ২২ জন অ+ পেয়েছে, তাই ভূয়া সার্টিফিকেট ধারি রেহানা বাহবা দিচ্ছে অভিভাবকদেরর বুঝিয়েছে তার ভালো পড়ানোর জন্য এতো গুলো অ+ পেয়েছে, আর এই বাহবায় এখন অভিভাবকরা রেহেনার বিদ্যালয়ে দৌড়ে দৌড়ে ভর্তি করাচ্ছে রেহেনার ভক্ত অভিভাবকরা, আপনার সন্তানকে একটু যাচাই করুন বাংলা, ইংরেজি ভালো রিডিং পড়তে পারে কিনা বিয়োগ গুন, ভাগ, অংক পারে কিনা, এছাড়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যে যেখানে ভর্তি করিয়েছেন তারা অর্ধবার্ষিকি পরিক্ষায় কেউ ৪ বিষয় কেউ ৫ বিষয় কেউ ২ বিষয় ফেল করেছে অভিভাবকরা বলেন, যে ছাত্র-ছাত্রীটা অ+ পেয়েছে সে কি ৬ষ্ঠ শ্রেণী ফেল করার কথা এ বিবেচনা আপনাদের কাছে সঠিক বিষয়টা ভেবে দেখুন, আর রেহেনার ভূয়া সার্টিফিকিটের বিষয়টা এই প্রতিবেদক মুন্সীরহাট ব্র্যাক অফিসের সিনিয়রদের জানায়, নাসির উদ্দিন, অরবিন্দু বিশ্বাস মাইকেল, অরবিন্দুবিশ্বাস এবং মাইকেল বিষয়টি আমলে নেয়, এবং রেহেনাকে ভূয়া সার্টিফিকেট বহনের অপরাধে গত ০৮/১০/২০১৭ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকায় লিখিত ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন, কিন্তু পরেরদিন ০৯/১০/২০১৭ ইং তারিখ নাসির উদ্দিন সকল অভিভাবককে ডাক দেন এবং আলোচনা করেন অভিভাবকদের মতামত চান নাসির উদ্দিন। যেখানে ভূয়া সার্টিফিকেট বহন করার অপরাধে রেহেনাকে শাস্তি দিবে সেখানে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে রেহেনাকে সাহস জুগিয়েছে একটা নাটক দেখিয়েছে গ্রাম্য অভিভাবক ধারনা করেছে আন্দোলন করলে মনে হয় সব খাটানো যায় রাষ্ট্রের এবং আল্লাহর কিছু আইন আছে, মানুষ যখন নিজকে বড় এবং নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে তখন অপরকে ঠকায়, সেটা ঠকিয়েছে জোছনা রেহেনা হয়ে, আর এমন ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা সড়িয়ে তার স্থানে অন্য জনকে বসান, আর রাষ্ট্রের আইনে জোছনা রেহেনার রূপ ধারণ করেছে আর এ আইনটা হলো অপরের রূপ ধারণপূর্বক প্রতারনাকরন কোন ব্যক্তি- ১। অপর কোন ব্যক্তি বলিয়া ভান করিয়া, বা ২। জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করিয়া, কিংবা ৩। সে বা অপর কোনো ব্যক্তি সে বা অনুরূপ অপর ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি সেই ব্যক্তি হইতে ভিন্নতর কোনো ব্যক্তি বলিয়া পরিচয় প্রদান করিয়া, প্রতারণা করিলে সেই ব্যক্তি অপরের রূপ ধারনাপূর্বক প্রতারণা’ করে বলিয়া গন্য হইবে। (ধারা ৪১৬) যে ব্যক্তির রূপ ধারন করা হয়, সে ব্যক্তি কোন প্রকৃত বা কল্পিত ব্যক্তি যাহাই হউক না কেন অপরাধটি অনুষ্ঠিত হয় বলিয়া বিবেচিত হইবে (ব্যাখ্যা) এই অপরাধের শাস্তি তিন বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা দন্ড বা উভয়বিধ দন্ড (ধারা ৪১৭) যখনই কেহ কথা, কাজ বা ইঙ্গিত দ্বারা নিজেকে অন্যের পরিচয় দিয়া চালায় এবং সেই অপর ব্যক্তির অধিকার ভোগ করে, তখনই সে উক্ত ব্যক্তির রূপ ধারন করে বলিয়া বিবেচিত হয়। উদাহরন স্বরূপ, ক’ যদি কোন পরীক্ষায় নিজেকে ‘খ’ বলিয়া পরিচয় দেয়, অথবা সে যে বর্ণের নহে সেই বর্নের বলিয়া দাবি করে, অথবা স্থীয় মর্যাদার মিথ্যা বিবরন দেয়, তাহা হইলে সে এই অপরাধ অনুষ্ঠান করে, আর জাল টাকা জাল সার্টিফিকেট, জাল দলিল এর শাস্তি যে কি হতে পারে এটা সকলের মোটামুটি ধারনা আছে আমার এই প্রতিবেদনে সকল অভিভাবকের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, “নেপোলিয়ান বলেছেন আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও তোমাদের সুন্দর একটি জাতি উপহার দিব”, তাই আমাদের সকলের বলতে হবে আমাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষিত শিক্ষক চাই অষ্টম, নবম, অন্ডার মেট্রিক পড়–য়া চাইনা, এখন আধুনিক যুগ এই যুগে এ লেখাপড়াকে লেখাপড়া বলে না, এ গুলো লেখাপড়া শিক্ষিত হিসেবে ধরতো ব্রিটিশ সরকারের আমলে, এখন শিক্ষিত খাতায় নাম লেখতে হলে কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক অর্থাৎ ঐ.ঝ.ঈ, হতে হবে, আসুন আমরা সকলে সচেতন হয়ে মান সম্মত শিক্ষা উপহার দেই আমাদের সন্তানদের।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here