প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে ইতোমধ্যে শীতের সবজির দাম কমতে শুরু হলেও বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকায় আর ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। অথচ গত নভেম্বরের প্রথম দিকে দেশি পেঁয়াজ ৮০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের আমদানিগত কিছু সমস্যা হওয়ায় দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তবে কৃষি বিভাগ বলছে, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে দেশি নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তোলা শুরু করবে কৃষকরা। ওই পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম অনেকটা কমে যাবে। লালমনিরহাটের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ১৫ টাকা, মুলা ৪ টাকা, মুলা শাক ২ টাকা, লাল শাক ৫ টাকা, সরিষা শাক ১০ টাকা, লাউ শাকেট আটি ২০ টাকা, ধনিয়াপাতার আটি ৩০ টাকায় কিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পটল ২০ টাকা, কাঁচাকলা ২০ টাকা, দুসকুশি ১৫ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৯০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, আলু ৭ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, সিম ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা ও বরবটি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালমনিরহাটের সদর উপজেলার বিডিআর বাজারে কাঁচাবাজারের ক্রেতা এনজিও কর্মী সাদেকুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ বেড়েই চলছে। এক কেজি ভারতীয় মোটা পেঁয়াজ ৯০ টাকায় কিনতে হলো। চালের বাজারেও কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। বি আর-২৮ প্রতি কেজি চাল ৪৮ টাকা ও স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে ক্রয় করতে হচ্ছে। লালমনিরহাট মহেন্দ্রনগর বাজারের কাঁচা সবজির আড়ৎদার মমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় পেঁয়াজে আমদানিগত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশি নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে উঠতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। ফলে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম অনেক কমে যাবে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় বলেন, লালমনিরহাট জেলায় এবার দীর্ঘমেয়াদে বন্যা হয়েছে। সে কারণে চাষীরা অনেক দেরিতে জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছে। তবে জেলায় প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ওই পেঁয়াজ বাজারে এলে অনেকটা দাম কমে যাবে।