প্রধানমন্ত্রীর নতুন ইতিহাসের প্রত্যাশায়

0
601

অধ্যক্ষ নুরুন্নবী রহমানী
বাংলাদেশ পীর-আওলিয়ার দেশ। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের স্বাধীনতার ঢংকা বাজানোর বদৌলতে এ দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের প্রাণের দাবী স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন দেশ বিশ্ব ভূবণে রচিত হয় ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের

Advertisement

 

বিনিময়ে। আমাদের মহান স্বাধীনতা লাভের পূর্বে পাকিস্তান আমল থেকেই এই দেশের মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রাণের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সুন্দর মন নিয়ে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা উত্তর এই দেশের মাদ্রাসা সূমহের ওস্তাদগণ বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নামের শিক্ষাসেবী অরাজনৈতিক সংগঠনটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে সামনের পথে এগোতে থাকে। এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আর্দশিক মানসিকতা নিয়ে সব সময় সকল সরকারের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের নানান সমস্যার সমাধান করেছেন। ইতিপূর্বে জমিয়াতের অনেক নেতাকর্মী এই মহান সংগঠনটির উন্নতিকল্পে বিপুল ত্যাগ, শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞা বিনিয়োগ করেছেন,তাদের অনেকেই এখনো জীবিত আছেন। অনেকেই ওফাত প্রাপ্ত হয়েছেন। আল্লাহ সকলকে দুজাহানের জাযায়ে খায়ের নসীব করেন। এটাই আমাদের সমবেত মোনাজাত।
স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরণ জমিয়াতের মহান কান্ডারী ছিলেন এদেশের একজন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ সরকারের সফল ধর্ম ও ত্রাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান ( র)। তিনি এ দেশের মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষক সমাজকে মর্যাদার সারিতে উপবেশন করাতে আজীবন নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি ইন্তেকাল পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত জমিয়তুল মোদার্রেছীন নামে মাদ্রাসার শিক্ষকদের একমাত্র সংগঠনটিকে মাতৃ-পিতৃ ¯েœহ দিয়ে লালন করতে থাকেন। তাঁর জীবদ্দশায় অসুস্থ অবস্থায় তিনি তাঁর মহান দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সকলের ঐক্যমতে তার জেষ্ঠপুত্র বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পথিতযশা সাংবাদিক,দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহা উদ্দিনকে এ পদে সমাসীন করেন। পিতার সমূহ দিকনির্দেশনা দোয়া এবং এই দেশের মাদ্রাসার শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট তথা সকল শিক্ষিত মানুষের প্রেরণা ধন্য হয়ে জমিতুল মোদার্রেছীনকে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছাতে আপন জ্ঞান,গরিমা ও প্রজ্ঞা দিয়ে। জমিয়তের মহাসচিব অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, কবি আল্লামা রুহুল আমিন খানসহ জমিয়ত নেতৃবৃন্দ’র শত বুদ্ধি-পরামর্শ ও প্রেরনায় জমিয়তের এতক উন্নতি। আরও কত উন্নতির আভা যে এই দেশের শিক্ষক সমাজের ললাটে জমা হবে,তা কেবল মাত্র ভবিতব্যই জানে। এ জমিয়তের একনিষ্ঠ নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের সাথে সুন্দর মনোভাব সৃষ্টি করে বিশেষ করে নাঙ্গলকোটের উন্নয়নের রুপকার, কুমিল্লাবাসীর হৃদয়ের মানুষ মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এফ সি এ এমপি মহোদয়ের খালেছ (একনিষ্ঠ) সমর্থন-সহযোগিতার বদৌলতে এই দেশে ইসলামের কি পরিমাণ খেদমত করছেন বর্তমান সরকার তার সংখ্যা বর্ণনা আমার পক্ষে অসম্ভব। তবে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি, মহাসচিব ও বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের হাজারো খেদমতে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ প্রাতিষ্ঠানিক ঝিলিক এই দেশবাসী দেখছেন,তাতে সকলেই সন্তুুষ্ঠ-প্রীত-উল্লাসিত।
বাংলাদেশের মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রাণের মানুষ,জমিয়তের মান্যবর সভাপতি আমাদের প্রিয় নেতা জনাব বাহ্ াউদ্দিন ভাই কোন এমপি মন্ত্রী নন; তবে তিনি একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উন্নয়নকামীও উন্নয়ন সহযোগী তিনি তাঁর প্রজ্ঞাবলে আলেম-ওলামা,পীর মাশায়েখ ও ইসলামী বুদ্ধিজীবীদের দোয়া ও পরামর্শ নিয়ে এই দেশের জমিনে ইসলামের বহু খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। তার সাথে শরীক আছেন সমর্থনে আছেন,কয়েক কোটি মানুষ, যোগ্য ভোটার এই বিষয়টি এখন সবর্জন বিদিত। বাংলার জমিনে ইসলামী শিক্ষার সাথে জ্ঞান বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধনে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডিজিটাল সরকারের প্রবক্তা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব মহোদয়। এই বিষয়টি এখন সবারই জানা শোনা,সর্বোপরি স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্যকন্যা জন্মগত ভাবে রাজপরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আজ ৭০ বছর বয়সে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেধা-প্রজ্ঞা ও চরিত্রগুনে নিরলসভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এমনকি তিনি বিশ্বের দীর্ঘ মেয়াদী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সু-খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশবাসীর সমর্থন পেলে তিনি ফের এই দেশের খেদমত করবেন বলে অনেকের ধারণা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম আস্থাভাজন মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাহেবের চিন্তা ও পরিকল্পনায় ক্রমে চলছে এই দেশের সকল কার্যক্রম, দরিদ্র্যতার খাতায় শূন্য বসিয়ে ধনী দেশের খাতায় বাংলাদেশের নামাংকনে দিনরাত কাজ করছেন আমাদের নাঙ্গলকোট-সদর দক্ষিন-লালমাইয়ের সংসদ সদস্য কামাল ভাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন ও প্রিয় মানুষ কামাল ভাইয়ের একান্ত বন্ধু আমাদের জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব বাহাউদ্দিন সাহবে। দু’জনের নেক চিন্তা ও ভাবনা পরিকল্পনা করে ঢাকার বুকে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও তার জন্য ভূমি অধি গ্রহণ সহ কার্যক্রম চালু করণে যে ঐতিহাসিক মাইলফলক স্থাপন করেছেন,তা কৃতজ্ঞ জাতি, আলেম ওলামা তো বটে,বিশ্বের পরতে পরতে তার সুনাম সুখ্যাতি প্রসার লাভ করেছে।
তিনবারের সফল সুখ্যাতির প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীদেরকেও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায় পে-স্কেলের অর্ন্তর্ভূক্তি,২৬ হাজার ১ শত ৯৩টি রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ,ইতিপূর্বে ১২ হাজারের অধিক বেসরকারি স্কুল-কলেজও মাদ্রাসাকে এমপিও ভূক্তির আওতায় এনে যে অপূর্ব ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন,তাই ইতিহাসের পাতায় চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। সারাদেশে শিক্ষা সংস্কৃতি ও যোগাযোগসহ সার্বিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মানে তিনি যে দু:সাহসিক পদক্ষেপ নিয়ে সফল হতে চলেছেন-তাতে সর্বমহল বিস্ময়াবিভূত। তিনি এইদেশকে ভালবাসেন,এই দেশের মানুষের সুখ দুখের অংশীদারী। অতীতের ন্যায় তিনি আগামী দিনেও এই দেশের তিনি সকল শ্রেণীর শিক্ষকদের উন্নয়নে, নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিও করণে তিনি পদক্ষেপ নিয়ে যথাযথ সফল হবেন,এই বিশ্বাস আমাদের আছে। বিশেষ করে শিক্ষক সমাজে চাকরী জাতীয়করণে সদয় ব্যবস্থা গ্রহন করে বাংলার জমিনে তিনি আরেকটি বিশ্ব ইতিহাস রচনা করবেন এটাই আমাদের সকলের আস্থা। সেই নতুন ইতিহাসের প্রহর গুনছি আমরা। আল্লাহ আমাদের সকলকে এহেন মহৎ কর্ম সম্পাদনে খাস তৌফিক দিন-আমিন।

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here