স্টার্ফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর উত্তরায় কাপড়ের ব্যবসার ছদ্মবরণে ভয়ংঙ্কর সব অপরাধ করে যাচ্ছে কুষ্টিয়া থেকে আগত মুহিবুল ইসলাম মাসুদ, পিতা-মোঃ রঞ্জন আলী, মাতা-মহিরা খানম। তিনি একাধিক ডাকাতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী। বিএনপি’র সময়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াতো উত্তরায়। বর্তমানে তার নামে বেনামে অটল ধনসম্পদ। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। উত্তরায় তার দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেরাব ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ ও ফ্যাশন মার্ক। প্রতিষ্ঠান দুটি দীর্ঘ দিন যাবৎ চালিয়ে আসছে। এ যেন কোন অফিস নয়, বরং মিনি পতিতালয় ও মাদকের হাট। তার অফিসের নষ্টামির বেশ কিছু প্রমাণও রয়েছে। প্রশাসনের সাথে আতাত করে এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক করে যাচ্ছে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসী। শুধু তাই নয় তার আওতায় রয়েছে বেশ কয়েকটি চক্র। তার মধ্যে অন্যতম হলো-ম্যারিজ মিডিয়া। আর সেই ম্যারিজ মিডিয়ায় প্রতারিত হয়েছে তানিয়া আক্তার ছুটি নামের এক তরুণী। পরবর্তীতে তাকে তালাক দিতে হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা আদায় করে। ঐ টাকা মাসুদ জোড় পূর্বক আদায় করে একাই ভোগ দখল করে থাকে। ওই তরুণীর টাকা চাইতে গেলে তাকে উল্টা উত্তরা পশ্চিম থানায় আটক করে আনে পশ্চিম থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে একটা অভিযোগ করে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানা। কোন রকম সুবিচার পায়নি। থানা পুলিশ মোট অংকের টাকা খেয়ে ছেড়ে দেয় তাকে। এ হল উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ফিটিং বানিজ্যের মহাউৎসব। মাসুদ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও দলবল নিয়ে ঘুরে বেড়ান জামাত ও শিবিরের অর্থদাতা কে এই কুলাঙ্গার মাসুদ?
সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এতে করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে উত্তরা আবাসিক নগরীতে। একটি সূত্রে জানা যায়, মাসুদের জাতীয় পরিচয় পত্র, ঠিকানা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ক্যান্টনম্যান্ট এর বাড়ীর। যা প্রতিবেদকের কাছে প্রমাণও রয়েছে। বাংলাদেশের সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ যেকোন ভাবে। কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও সর্বহারা গ্রুপের সদস্যদের তদন্ত করা হোক। শুধু তাই নয়, তার অফিসে ঈদের পর বিএনপি আবারও জালাও পোড়াও সহ একাধিক ভাংচুরের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। তার অফিসের নাম না বলা একজন বলেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, উত্তরা ১০ নং সেক্টর আঞ্চলিক কর অঞ্চলের কর অফিসার তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত টিমও পাঠিয়েছেন। কে এই কুখ্যাত সিন্ডিকেটের মাসুদ? কি তার পরিচয়? তা কেউ জানে কি??
কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ খুবই ভয়ংঙ্কর এক সিন্ডিকেট বলে জানা যায়। তৎকালীন বিএনপি’র সময় জালাও পোড়াও সকল রকম অর্থ, অস্ত্র, ক্যাডার সহ গোলাবারুদ দিয়েছিল বলে জানা যায় তার অফিসের এক কর্মচারীর কাছ থেকে। সেই সাথে রয়েছে মাদক ও পতিতার এক বিশাল সিন্ডিকেট। বর্তমানে সে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের লোক বলে পরিচয় দেন। কখনও কখনও সে নির্বাচন পরিচালনা করছেন বলে জানান দেন। উত্তরায় তার বিভিন্ন সেক্টরে রয়েছে একঝাঁক ক্যাডার বাহিনী। তার বাসায় আশ্রয় প্রশয় দিয়ে সন্ত্রাসীদের মালামাল কম টাকায় কিনে বেশি টাকায় বিক্রয় করে থাকে। উত্তরার সুশীল সমাজের লোকজন বলেছেন, মাসুদ বায়িং হাউজের আড়ালে সকল প্রকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তার ফেসবুকে নগ্ন নাচ ও মেয়েদেরকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত আছে বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের বাদী তানিয়া আক্তার সুইটি বলেন, আমি জানি মাসুদ কেমন প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন সময়ে মেয়েদেরকে তার অফিসে চাকুরী দেয়ার কথা বলে এক সপ্তাহ বা এক মাস ব্যবহার করে সর্বহারার বেশ কিছু লোক ও তার হাতে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা পয়সা তো দূরের কথা তার সম্মান নিয়েও খেলা করে। যেমনটি করেছে আমার সাথে। আমার ডিভোর্সের আগে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি তাতে রাজি না হলেও আমার সর্বনাশ ঘটাবে বলে হুমকি দিয়ে থাকেন। আমার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে ডিভোর্স দেয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। কাবিন নামায় ছিল ১০ লক্ষ টাকা। মাসুদ ৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। রাত অনেক বলে তার কাছে বিশ্বাস করে টাকা গুচ্ছিত রেখেছি। আর বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাই। সকালে তার মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তা রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নিলেও থানা পুলিশ আমার সাথে বেআইন কাজ করে। মাসুদ ২ লক্ষ টাকা দেন পুলিশকে। আমার টাকা দিয়ে আমাকেই গ্রেফতার করে মাসুদ। তবে তানিয়া আক্তার সুইটি আরও জানান, বেশিদিন বাংলাদেশে মাসুদ থাকবে না। ওর সাথে দেশের বাহিরের একটি চক্র রয়েছে।
তাহলে কি মাসুদ আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের আই এস এর লোক?
তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাসুদ তার নতুন কোম্পানী ফ্যাশন মার্ট প্রাইভেট লিঃ কোম্পানী শুরু করে কোরবানী ঈদের পর মালেয়শিয়া যাওয়ার জন্য সবকিছু গোছ করেছেন বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে তার ভিসা, পাসপোর্টের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বায়িং হাউজের অন্য সব ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে মাসুদ বেশি দিন বাংলাদেশে থাকবে না বলেও জানান তারা। ওই তরুণীই নয়, স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, আমার জীবনে অনেক রকমের খারাপ লোক দেখেছি কিন্তু মাসুদের মত নয়। কিন্তু মাসুদদের মতো মাদকাসক্ত আজও দেখি নি।
শুধু কি মাসুদ বায়িং হাউজের ব্যবসা করে?
তার কাপড়ের ব্যবসা আড়ালে রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট বাহিনী। শুধু তাই নয় মাদক ও চোরা কারবারের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। যার ফলে উত্তরার প্রতিটি মানুষ মাসুদ বাহিনীর বয়ে মাথা নিচু করে থাকে। শুধু তাই নয় তার পক্ষে কাজ করে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও। এই মাসুদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হলো উত্তরা পশ্চিম থানার একজন দালাল ও সোর্স হিসাবে পরিচিত। সেই সূত্রে মাসুদ সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে উত্তরা ১১ নং সেক্টরের রাজউকের নতুন বাজার থেকে পজিশন বিক্রির নামে চাঁদাবাজি করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মানুষ হয়রাণির ভয়ে তার বিরুদ্ধ মুখ খুলতে সাহস পায়না। আর সে প্রকাশ্য বলে বেড়ায় যে মুখ খুলবে, তাকে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে তার সাথে মুঠোফোনে (০১৭১১-০১৭৩৮৪) বার বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত আসছে অনুসন্ধানে, পুলিশ সহ।