বিশেষ প্রতিনিধিঃ দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদ বিদেশে টাকা পাচার গুম হত্যা অপহরণ চাঁদাবাজি ও স্বৈরাচারী দুঃশাসক হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর এস এস পলিটিকেল এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত পিপুল সম্পদ বিদেশে টাকা পাচার ঘুম হত্যা অপহরণ চাঁদাবাজ স্বৈরাচারী দুঃশাসক শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর এস এস পলিটিকেল এবং সাবেক অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তার পিতা সামসোদ্দোহা মুন্সিগঞ্জ
টেংগর এলাকায় একজন সাধারণ কাফনের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
সে নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন।
তার দুর্নীতির অপরাধ সমূহ হলো:
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এসবিতে বিভিন্ন পদে ও ডিআইজি হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত থাকা অবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য বদলি বাণিজ্য টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের সহিত জড়িত হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অসৎ উপায়ে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন।
দুর্নীতির টাকা দিয়ে সে তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ ঢাকায় বিভিন্ন জায়গা নিজ নামে ও স্ত্রী সন্তানের নামে অন্যের জমি দখল ও ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি ক্রয় করেন।
দুর্নীতির টাকা দিয়ে ঢাকার নিউস্কাটন এলাকায় তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে দুইটি বিশাল বিলাসবহুল ফ্লাট ক্রয় করেছেন।
দুর্নীতির মাধ্যমে অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়ে ঢাকার মিরপুর মাজার রোডের পিছনে প্রায় এক বিঘা জমির উপর বিশাল টিনশেড এর ঘর করেছেন।
এই সম্পত্তি কিনে নিজ নামে ও তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেছেন।
এই সম্পত্তির বর্তমান মূল্য কম বেশি ৩০ কোটি টাকা।
মাহাবুব হোসেনের শ্যালক সবুজ এর নামে ঢাকার ইস্কাটন রোডে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ঠিকানা: মাহামুদিয়া মঞ্জিল. ফ্ল্যাট নম্বর-২/বি
৬/১, ইস্কাটন রোড, ঢাকা।
মাহাবুব হোসেনের ভাগিনা নিঝুর নামে ফ্ল্যাট নম্বর:-৭/সি এবং স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট নম্বর:-৩/সি ও৬/বি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট সমূহ মাহাবুব হোসেন ক্রয় করে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাহবুব হোসেনকে ডিআইজি থেকে পদোন্নতি দিয়ে এডিশনাল আইজিপি হিসেবে ২০২১ সালে নিয়োগ লাভ করেন।
এডিশনাল আইজিপি হওয়ার পর মাহবুব হোসেন দুর্নীতির গডফাদার বনে যায়।
মাহাবুব হোসেন দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে (আমেরিকা) ও কানাডায় নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে (৪) চারটি বিলাসবহুল বাড়ি এবং কানাডায় টরেন্টোতে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে।
এই বাড়ি ও রিসোর্ট অসৎ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে সেই টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন।
মাহবুব হোসেনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম হিসেবে (২) দুটি ফ্লাট রয়েছে।
এই ফ্ল্যাটের আনুমানিক মূল্য (৭) সাত কোটি টাকা।
মাহবুব হোসেনের আমেরিকায় ক্রয়কৃত বাড়িতে থাকে তার দুই ছেলে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকায় পড়াশোনা ও ভোগ বিলাস করছে।
মগবাজার এলাকায় , এট দ্যা টেবিল, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঐতিহ্য নামে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় তার স্ত্রী তসলিমা বেগম (কুইন) পরিচালনা করেন।
২০১৩ সনে নিউ ইস্কাটন এলাকায় মাহবুব হোসেনের বাড়িতে হায়দার নামক কাজের ছেলের সাথে অবৈধ মেলামেশা দেখে ফেললে কাজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে কাজের মেয়ের দেশের বাড়ির এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে।
তার ক্ষমতার দাপটে তখন হত্যা মামলাটি পুলিশ নেয়নি।
মাহাবুব হোসেনের অবর্তমানে তসলিমা বেগম (কুইন) বহু ছেলের সাথে বাসায় অনৈতিক কার্যকলাপ করে।
তাদের ক্ষমতার দাপটে এলাকাবাসী পুলিশের ভয়ে কিছু বলতে পারেনা।
এসবি,র ওসি ইমিগ্রেশন থাকা অবস্থায় মাহবুব হোসেনের সাথে বড় বড় স্মাগলার, গোল্ড ব্যবসায়ী, হণ্ডিব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের চালান বাসায় নিয়ে আসতেন ও নিয়ে যেতেন।
মাহবুব হোসেনের দেহ রক্ষী রায়হান এসবির কনস্টেবল।
এসবির, রায়হান নামক এই কনস্টেবল তার সাথে প্রায় ২০ বছর যাবত দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
একজন কনস্টেবল কি করে ২০ বছর একই স্থানে থাকতে পারে?
বর্তমানে এই রায়হান ও শতকোটি টাকার মালিক।
ক্ষমতা থাকাকালে প্রায় সময় রাতে সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ও বেনজির আহমেদ সহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ নেতারা মাহবুব হোসেনের বাসায় দেশবিরোধী ও দুর্নীতির বিষয়ে মিটিং করতেন।
নাম না বলার শর্তে এসবি তে কর্মরত এক পুলিশ অফিসার বলেন তার ছোট ভাই মামুন সহ অনেককে অবৈধ পথে আমেরিকা কানাডা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করেছেন।
দেশবিরোধী ফৌজদারি অপরাধ সমূহ: মাহবুব হোসেন ২০১৩ সনে হেফাজতে ইসলাম এর মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিবেদন মোতাবেক ৬১ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যার পেছনে তৎকালীন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের সাথে থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি নেতৃত্ব দেন।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত যাবেদ পাটোয়ারীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে মাহবুব হোসেন ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় বেনজির আহমেদ সহ সরাসরি গুলি করে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে।
মাহবুব হোসেন (২০০০) দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
২০১৩ সনে ১০০ কোটি সমপরিমাণ বিদেশি টাকা পাচার করার সময় ডিজিএফআইয়ের নিকট ধরা পড়ে।
এই টাকা আইনানুগ ভাবে জব্দ করা হয়।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামাতে ইসলামী নেতা আলী আহমেদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি কার্য করে এই সময় তার প্রধান ভূমিকা ছিল।
তখন মাহবুব হোসেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর এস এস পলিটিকেল এর দায়িত্বে ছিলেন।
২০২১ সনে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের আঙ্গাবাহ হবার কারণে তাকে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখার কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০২৪ সনের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে ১ আগস্ট কর্মরত অবস্থায় ছিলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপ্লবী ছাত্র জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশদাতা ছিলেন মাহবুব হোসেন।
নাম না বলার শর্তে মাহবুব হোসেনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তার কুলাঙ্গার দুই পুত্রের অপকর্মের কথা জানিয়েছেন।
মাহবুব হোসেনের ছেলে জাওয়াত মাদক সেবন করে আমেরিকাতে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মামলা খেয়ে জরিমানা দিয়েছিল।
আরেক ছেলে জিহাদ সোনা চোরাচালান চক্রের সাথে সোনা চোরা চালানোর ব্যবসা করে।
কয়েক বছর আগে ফেনসিডিল ও হেরোইন সহ এই জিহাদ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল।
কিন্তু মাহবুব হোসেন অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে মুক্ত করেছিল।
মাহবুব হোসেনের স্ত্রী তসলিমা বেগম (কুইন) এলাকায় আওয়ামীলীগের নারী নেতৃত্বাধীন একটি সংগঠন তৈরি করে।
এই সংগঠনের প্রচুর মহিলা ও এলাকার বাহিরের মহিলারা প্রতি রাতে তার বাসায় আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজির রাজনীতির মিটিং করে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে ভোট কারচুপির মূল হত্যা সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ও বেনজির আহমেদ এর সাথে মাহবুব হোসেন সমস্ত নীল নকশা করে ভোট কারচুর্পির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে অবৈধ সরকার গঠনে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারের একান্ত সহযোগী ও দুর্নীতিবাজ সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি দেশত্যাগে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
উপরের উল্লেখিত দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদ বিদেশে টাকা পাচার হত্যা ঘুম অপহরণ চাঁদাবাজ ও স্বৈরাচারী দুঃশাসক শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর এস এস পলিটিকেল এবং সাবেক অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত-পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে থাকবে আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন।