ডেস্ক রিপোর্ট ঃ ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় এখন বাংলাদেশের শীতলপাটি।শীতল পাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো আজ বুধবার আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা দেয়।দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনেসকোর দ্বাদশ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিলেটের দুজন প্রসিদ্ধ শীতলপাটিশিল্পী গীতেশ চন্দ্র দাশ ও হরেন্দ্র কুমার দাশ শীতলপাটি প্রদর্শন করেন। জাদুঘরের মহাপরিচালক জানান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এ প্রস্তাবটি প্রণয়ন করেছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনেসকোর কাছে তা দাখিল করেছিল। স্বীকৃতিদানের মূল কাজটি করে ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ।
শীতলপাটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গরমে ঠান্ডা অনুভূত হয়। পাশাপাশি এর নানান নকশা, রং ও বুননকৌশল মুগ্ধ করে সবাইকে। সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার শ্রীনাথপুর, আতাসন, গৌরীপুর, লোহামোড়া, হ্যারিশ্যাম, কমলপুর ইত্যাদি এলাকায় শীতলপাটি তৈরি হয়। এ ছাড়া নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, পাবনায় কিছু কারিগরের দেখা মেলে। এসব শীতলপাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন সিকি, আধুলি, টাকা, নয়নতারা, আসমান তারা ইত্যাদি। তবে সিকি, আধলি ও টাকা ব্যাপক পরিচিত। পাটিগুলো সাধারণত ৭ ফুট বাই ৫ ফুট হয়ে থাকে।
ইউনেসকোর প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশের বাউলসংগীত। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি বুননশিল্প লাভ করে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। গত বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা একই স্বীকৃতি লাভ করে।