বাংলাদেশে ইকোনমিক জোন হবে প্রতিটি দেশের জন্য

0
988

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে প্রতিটি দেশের জন্য স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
কলকাতায় এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় কলকাতায় ওয়েস্টিন হোটেলে হোরাসিস কর্তৃক আয়োজিত হোরাসিস এশিয়া মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এ আহ্বান জানান।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন- মধ্যম আয়ের দেশ প্রতিষ্ঠা করা, অন্যটি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। নন ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফ সংক্রান্ত শুল্ক জটিলতার কারণে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য আশানুরূপ রপ্তানি হচ্ছে না। বাণিজ্যবাধা দূর করা হলে ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে প্রত্যকটি দেশের জন্য আলাদা স্পেশাল ইকোনমিক জোন থাকবে, এ কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশের বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছেন। সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগকারীগণ এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে এবং যেকোনো সময় লাভসহ বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান হোরাসিসের সভাপতি ফ্রাংক জার্গার রিচারের সঞ্চালনায় সারা বিশ্বের কয়েক শত বিনিয়োগকারীর উপস্থিতিতে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন মিয়ানমারের মান্ডালে অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী জ মিন্ট মং ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শাশ্বত গোয়েঙ্কা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, রোববার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মৌলানা আজাদ কলেজের (পূর্বতন ইসলামিয়া কলেজ) বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ পরিদর্শন করেন, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রধান কার্যালয়, ৮ থিয়েটার রোড, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মকাণ্ডের স্থান ৫৭/৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড এবং মুক্তিযুদ্ধকালে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের (তোফায়েল আহমেদসহ) অবস্থানের ঠিকানা ২২, ভবানীপুর সানি ভিলা পরিদর্শন করেন।

Advertisement

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here